স্টাফ রিপোর্টার : নির্দিষ্ট দিনে যুবভারতীতে ডার্বি হলে আনোয়ার আলি দলে থাকতেন কি না, সরকারি ভাবে জানা যায়নি। তবে লাজং এফসির বিরুদ্ধে খেলার জন্য ইস্টবেঙ্গলের যে দল এদিন শিলংয়ে গেল, সেই দলে রয়েছেন আনোয়ার। ফলে আশা করাই যায়, শুরুতে যদি একান্তই দলে না থাকেন, তাহলেও পরে লাল-হলুদ জার্সিতে মাঠে নামার সম্ভাবনা রয়েছে আনোয়ারের। আর সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। কারণ, লাজংয়ের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল মাঠে নামবে ২১ আগস্ট। আর আনোয়ারের জরিমানা নিয়ে ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির মিটিং ম্যাচের ঠিক একদিন পরেই, ২২ আগস্ট। ফলে লাজংয়ের বিরুদ্ধে খেলা নিয়ে আনোয়ারের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন অনেকেই।
[আরও পড়ুন: ছয় ছক্কার নায়ক থেকে ক্যানসারজয়ী যোদ্ধা, এবার রুপোলি পর্দায় যুবরাজ সিংয়ের বায়োপিক]
শুধুই আনোয়ার নয়। দলের সঙ্গে শিলং গেলেন দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোসও। চোখের চোট সারিয়ে দলের সঙ্গে গিয়েছেন ক্লেটন সিলভাও। ফলে ডুরান্ড কোয়ার্টার ফাইনালে কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল যে পুরো তৈরি হয়েই নামবে বলাই বাহুল্য। শিলং যাওয়ার আগে এদিন সকালে রাজারহাটে ফেডারেশনের সেন্টার ফর এক্সিলেন্সের মাঠে প্র্যাকটিস করেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। প্র্যাকটিসে পুরোটাই ছিলেন ক্লেটন। প্র্যাকটিস শেষে লাল-হলুদ সমর্থকরা এসে কোচ কুয়াদ্রাত সহ ফুটবলারদের হাতে রাখি পরিয়ে দেন। তারপরেই শিলংয়ের উদ্দেশে রওনা দেয় ইস্টবেঙ্গল। বিকেলে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে নেমে শিলংয়ের দিকে বাসে রওনা দেন ফুটবলাররা। প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা বাস যাত্রার পর রাতে দিকে কুয়াদ্রাতের ছেলেরা যখন টিম হোটেলে ঢুকছেন, তখন বাইরে হাল্কা বৃষ্টি চলছে। ম্যাচ বুধবার। কুয়াদ্রাত ঠিক করেছেন, সকালে মঙ্গলবার সকালে প্র্যাকটিস না করিয়ে বিকেলে ফুটবলারদের নিয়ে প্র্যাকটিসে নামবেন। এদিকে, আজ স্থানীয় লিগে রেনরো-র বিরুদ্ধে নামছে ইস্টবেঙ্গল।