সুব্রত বিশ্বাস: পুজো যত এগিয়ে আসছে লোকাল ট্রেন চালানোর দাবি তত জোরালো হচ্ছে। রুষ্ট যাত্রীদের বশে আনতে পারছে না রেল। এই প্রেক্ষিতে ফের রাজ্যকে চিঠি দিল রেল। মঙ্গলবার পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার রাজ্যের ডেপুটি চিফ সেক্রেটারিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, লোকাল ট্রেনের দাবি দিনদিন জোরালো হচ্ছে। রেল সম্পত্তি নষ্ট করছেন ক্ষিপ্ত জনতা। এই পরিস্থিতিতে রেলের সঙ্গে রাজ্য বসে ট্রেন চলাচলের বিষয়টি নিষ্পত্তি করুক। কীভাবে, কত ট্রেন, কবে চালানো শুরু করা যাবে তা জানতে চাওয়া হয়েছে চিঠিতে।
একদিকে ট্রেন বন্ধের ফলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে রেলের ক্ষতির পরিমাণ কম নয়। শিয়ালদহ ও হাওড়ার লোকাল ট্রেনের সংখ্যা ১৩৮৭। যার মধ্যে শিয়ালদহের লোকালের সংখ্যা ৯২৭ ও হাওড়ায় ৪৬০টি। শিয়ালদহ ডিভিশনে লোকাল ট্রেনের থেকে বার্ষিক আয় সাড়ে চারশো কোটি টাকা। হাওড়ায় ২২৮ কোটি টাকা। চলতি বছরে মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত এই আয় একেবারে শূন্য।
[আরও পড়ুন : পাস দেখালেই ওঠা যাবে স্পেশ্যাল ট্রেনে! নিত্যযাত্রীদের অসহায়তার সুযোগে রমরমা ব্যবসা পাণ্ডুয়ায়]
এমন পরিস্থিতিতে রেলকর্মীদের জন্য দুই ডিভিশনে ১৮২টি স্পেশ্যাল ট্রেন চলছে। যেখান থেকে কোনও আয় নেই। এদিকে নিরুপায় হয়ে বহু যাত্রী সেই ট্রেনে চড়ছেন। যাচ্ছেন জেলে। তবুও লোকাল ট্রেন চালু হচ্ছে না। রেল প্রস্তুত হলেও রাজ্যের অনুমতি ব্যাতিত ট্রেন চলা সম্ভব নয়। তাই ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়ার জন্য রাজ্যের কাছে আরজি জানাল রেল। এখন দেখার বিষয় রাজ্য মত দেয় কিনা।
[আরও পড়ুন : বঙ্গবাসীর জন্য সুখবর, পুজোর আগেই চালু হচ্ছে পুরী ও দিঘাগামী ট্রেন]
প্রসঙ্গত, রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে চিঠি লিখেছেন রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাসগুপ্ত। চিঠিতে লিখেছেন, বাংলায় যত দ্রুত সম্ভব লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুক মন্ত্রক। তবে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা এবং সামাজিক দূরত্ব বাধ্যতামূলক করার পক্ষেও সওয়াল করেছেন সাংসদ। এরপর ফের রাজ্যকে চিঠি দিল রেল। রাজ্য কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার দিকে তাকিয়ে আমজনতাও।