রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: মাঝেরহাট ব্রিজ (Majerhat Bridge) নিয়ে আচমকাই শুরু হয়েছে চাপানউতোর। বৃহস্পতিবার বিজেপির বিক্ষোভের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন রেলের গড়িমসিতে এখনও ব্রিজ চালু করা যায়নি। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে পূর্ব রেল। রাজ্যের সামান্য কিছু অনুমতির জন্যই মাঝেরহাট ব্রিজের সমস্ত কাজ থমকে রয়েছে বলেই দাবি। এ প্রসঙ্গে রাজ্যকে খোঁচা দিয়েছেন অমিত মালব্যও।
মাঝেরহাট সেতু খুলে দেওয়ার দাবিতে হঠাৎ বিজেপির বিক্ষোভ ঘিরে তুলকালাম তারাতলায় (Taratala)। পথ অবরোধ, পুলিশের লাঠি, গ্রেফতার ঘিরে দীর্ঘক্ষণ দক্ষিণ কলকাতার ওই এলাকা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে। কিন্তু রাজ্য সরকার নয়, কেন্দ্রের গড়িমসিতেই যে ভেঙে পড়া সেতুটির পুনর্নির্মাণে ও খুলে দিতে সময় লাগছে তা এদিন নবান্নে স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টানা ৯ মাস রেল নয়া সেতু নির্মাণে অনুমতি না দেওয়ায় মাঝেরহাট ব্রিজ সম্পূর্ণ করতে বিলম্ব হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার সরাসরি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। অবিলম্বে ব্রিজ চালুর দাবিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নেতৃত্বে দু’ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ দেখান গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। গ্রেপ্তার হওয়া কর্মীদের না ছাড়লে তিনিও পুলিশের বাসে উঠে বসে থাকবেন বলে হুমকি দেন কৈলাস। বিষয়টির ইঙ্গিত করে নাম না নিয়ে বিজেপি নেতাদের পালটা কটাক্ষও করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে বিজেপির বিক্ষোভ, গণ্ডগোলের প্রতিবাদে সন্ধেয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মিছিল করে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: বিয়েতে আপত্তি, ছাদনাতলায় যাওয়ার আগেই ‘পলাতক’ বর! হবু স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাত্রীর]
২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ভেঙে পড়া মাঝেরহাট ব্রিজটি দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ধাঁচে ৬৫০ মিটার দীর্ঘ নয়া সেতু তৈরির কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। লোড টেস্টিং ও কেবল ফিক্সিং পর্ব শেষে এখন রেলের সেফটি সার্টিফিকেটর জন্য অপেক্ষা চলছে। পূর্ব রেলের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দিক থেকে অনুমতি না মেলায় মাঝেরহাটের কাজ থমকে আছে বলেই দাবি করা হয়েছে।
পূর্ব রেলের এই দাবিকে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে গেরুয়া শিবির। মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যে কথা বলছেন বলে তোপ দেগেছেন অমিত মালব্য।