সুব্রত বিশ্বাস: আয় বাড়াতে শর্ট কাট পদ্ধতিতে বিশেষ ট্রেন চালানোর পক্ষে রায় দিলেন না পূর্ব রেলের জিএম। বৃহস্পতিবার অপারেশন ও কমার্শিয়াল বিভাগ-সহ অন্য বিভাগীয় কর্তাদের নিয়ে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার জন্য বৈঠক করেন।
চলতি বছরে ১২ হাজার ২০০ কোটি টাকা বোর্ডের আয় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেই টাকা তুলতে পুজোর মরশুমে বাড়তি ট্রেন চালানোর জন্য কোনওরকম শর্ট কাট পদ্ধতি নেওয়া যাবে না। জিএম এপি দ্বিবেদী সম্প্রতি রেল দুর্ঘটনার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করে সেফটি ক্যাটাগরির কর্মীদের সচেতন থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি আয় বাড়াতে কোনওরকমে বাড়তি ট্রেন চালিয়ে দেওয়াকেও উপযুক্ত পদক্ষেপ নয় বলে জানান।
[আরও পড়ুন: মণিপুরে ফের অস্ত্রাগার লুন্ঠনের চেষ্টা, মুখ্যমন্ত্রী বীরেনের বাংলোর কাছেই অরাজকতা]
করোনা কালে পণ্য পরিবহণে যে আয় হয়েছিল, তার থেকে দু’হাজার কোটি টাকা বাড়তি আয় হয়েছে পরের বছর। এই দেখে চলতি বছরে ১২ হাজার ২০০ কোটি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয় পূর্ব রেলকে রেল বোর্ড। পাঁচ মাসের মধ্যে বাড়তি আয়ের পদ্ধতি নিয়ে এদিনের এই বৈঠকে হাজির ছিলেন পিসিসিএম সৌমিত্র মজুমদার, পিসিওএম আরডি মিনা-সহ অন্য বিভাগীয় প্রধানরা। গত বছরের তুলনায় লোডিং তাৎপর্য ভাবে বাড়নি। আয় বেড়েছে মাত্র ১৩ শতাংশ। ফলে আয় বাড়ানোর প্রতি উদ্বেগ থাকলেও সুরক্ষা ব্যাহত করে নয়, বলে মনে করেছেন রেলকর্তারা।