সুব্রত বিশ্বাস : হাওড়া ও শিয়ালদহে আরও এক ধাঁপ বাড়তি স্বাচ্ছন্দ্য আসতে চলেছে। এজন্য প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের সুবিধাতে হাওড়া-খড়গপুর শাখার ট্রেন যেমন সময় মতো হাওড়া ঢুকতে পারবে। অন্যদিকে শিয়ালদহ উত্তর ও মেন শাখায় সব ট্রেন বারো বগির করা হবে। হাওড়ায় যা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। আর শিয়ালদহে শুরু হবে আগামী কাল রবিবার বলে পূর্ব রেল জানিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘সন্দেশখালি নিয়ে এত নাচানাচি…’, সুকান্তকে খোঁচা দিয়ে কী বললেন অভিষেক?]
শিয়ালদহ মেন ও উত্তর শাখার সব ট্রেন বারো বগির করার যে প্রকল্প তার কাজ শুরু হচ্ছে কাল রবিবার থেকে। প্রথম ধাপে শিয়ালদহ স্টেশনের ১, ২, ৩, ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মগুলির উন্নয়ণ ও সম্প্রসারণের কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি রোড সাইডের আরও কিছু স্টেশনের দৈর্ঘ্যও বাড়ানোর প্রয়োজন। তার কাজও চলবে সমান তালে বলে পূর্ব রেল জানিয়েছে। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় প্রায় সব ট্রেনই ১২ বগির। উত্তর শাখায়১৮৬টি আপ ট্রেনের মধ্যে ৮৮টি বারো বগির চলে। ১৮৮টি ডাউন ট্রেনের মধ্যে ৮৮টি বারো কোচের ট্রেন চলে। সব ট্রেন যাতে বারো কোচের হয়, সেজন্যই এই পদক্ষেপ বলে রেল জানিয়েছে।
হাওড়ায় ১৪, ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মটি সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এজন্য দক্ষিণ—পূর্ব রেলের লাইনের পাশে অনেক জায়গা কাজে লাগানো হচ্ছে। ফলে প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বাড়াতে সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছে রেল। নিউ কমপ্লেক্সে দু’টি নতুন প্ল্যাটফর্মের (২৪ ও ২৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম) জন্য যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। পরে তাও কাজে লাগানো হবে। হাওড়া স্টেশনে সম্প্রসারণ ও নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে টিকিয়াপাড়া ইয়ার্ডের খোলনলচে বদলে ফেলা হবে। সিগন্যাল, ক্রসিং পয়েন্ট, কার্ভ, সব কিছু বদলে নতুন করা হবে। নতুন পয়েন্ট সেট করা হবে। অপ্রয়োজনীয় এমন বহু কিছু সরঞ্জাম রয়েছে, যা তুলে ফেলা হবে। এজন্য হাওড়া স্টেশনে ঢোকা বা বেরিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেন কিছুটা বিলম্ব করে। অনেক সময় ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে। অহেতুক এই সময় নষ্ট বন্ধ হবে। লিলুয়া থেকে হাওড়া স্টেশনে ঢুকতে দুই থেকে পাঁচ মিনিট কম সময় লাগবে এই কাজ শেষ হলে বলে মনে করছে রেলের অপারেশন বিভাগ।