সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এনসিপিতে আর একার অধিকার নেই শরদ পওয়ারের। দুই শিবিরে বিভক্ত দল। মেনে নিল নির্বাচন কমিশন। তবে কোন শিবিরকে দলের নাম ও প্রতীক ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে, সেটা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সেই সিদ্ধান্ত হবে আগামী মাসে।
মাস দুয়েক আগে সদলবলে শরদ পওয়ারের (Sharad Pawar) এনসিপি থেকে বেরিয়ে বিজেপির সঙ্গে নাম লেখান ভাইপো অজিত পওয়ার। মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভায় যোগ দেন এনসিপির ৯ বিধায়ক। অজিত নিজে উপমুখ্যমন্ত্রী হন। ক্ষুব্ধ শরদ অজিত শিবিরের একাধিক নেতাকে বরখাস্ত করেন। কিন্তু অজিতকে বহিষ্কার বা বরখাস্ত কোনওটাই করেননি শরদ। সেসময়ই স্পষ্ট হয়ে যায়, এনসিপি দুই ভাগে ভেঙে যেতে চলেছে। যদিও শরদ পওয়ার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাতে কাজের কাজ হল না।
[আরও পড়ুন: ফাইনালের আগে বাংলাদেশ ম্যাচে পরীক্ষানিরীক্ষার পথে রোহিতরা, খেলতে পারেন তিলক, সূর্য]
দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর দলের প্রতীক ও নাম ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় এনসিপির অজিত (Ajit Pawar) শিবির। তাঁদের আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিক ভাবে মেনে নিল এনসিপি এখন দুই গোষ্ঠীতে বিভক্ত। দলের নাম এবং ঘড়ি প্রতীক কার হাতে থাকবে, তা চূড়ান্ত করতে আগামী ৬ অক্টোবর বৈঠক ডেকেছে কমিশন। বৈঠকে ডাকা হয়েছে দলের যুযুধান দুই গোষ্ঠীকেই। ওই দিন আলাদা আলাদা শুনানিতে দুই পক্ষের সাংগঠনিক শক্তিই খতিয়ে দেখবে কমিশন।
[আরও পড়ুন: হরিয়ানার নুহতে সাম্প্রদায়িক হিংসা পরিকল্পিত? গ্রেপ্তার কংগ্রেস বিধায়ক]
এনসিপির প্রতীকের অধিকার শেষ পর্যন্ত কার হাতে থাকে, সেটা আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ইতিমধ্যেই শিব সেনার (Shiv Sena) উদ্ধব শিবির দলের প্রতীক হারিয়েছে। বিরোধী শিবিরের আরও এক দল যদি একইভাবে প্রতীক হারায়, সেটা বিরোধী জোটের জন্য ধাক্কা হতে পারে।