সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চতুর্থ দফায় বঙ্গের নির্বাচনে নজিরবিহীন হিংসার জেরে আগামী ৭২ ঘণ্টা কোচবিহার জেলায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (Electioon Commission)। যে নিয়মের আওতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ফলত রবিবার কোচবিহার সফর বাতিল করতে হয়েছে তৃণমূল নেত্রীকে। কিন্তু এভাবে যে তাঁকে আটকে রাখা যাবে না, রবিবার টুইট করে সেকথাই স্পষ্ট করে দিলেন তিনি।
মোদির হয়ে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। এদিন সকালে টুইটারে ফের কমিশনকে তীব্র আক্রমণ করে তৃণমূল নেত্রী লেখেন, “MCC অর্থাৎ মডেল কোড অফ কনডাক্টের নাম মোদি কোড অফ কনডাক্ট করে দিন কমিশন। বিজেপি এদের সবাইকে ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু গোটা বিশ্বে এমন কোনও ক্ষমতা নেই যা আমাকে মানুষের যন্ত্রণা ভাগ করা থেকে আটকাতে পারবে। আমার ভাই-বোনেদের দেখার থেকে ওরা আমায় তিনদিন আটকাবে। কিন্তু আমি চতুর্থ দিনই কোচবিহারে পৌঁছে যাব।” অর্থাৎ নির্দেশিকা মেনে ৭২ ঘণ্টা কোচবিহারে ঢুকতে না পারলেও তারপরই যে তিনি সেখানে হাজির হবেন, তা স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত সশরীরে পৌঁছতে না পারলেও মৃতদের পরিবারের সঙ্গে আজ ভিডিও কলে কথা বলবেন তিনি।
[আরও পড়ুন: অবশেষে বাংলায় ভোট প্রচারে আসছেন রাহুল গান্ধী, দোলাচলে প্রিয়াঙ্কা]
শনিবার চতুর্থ দফা ভোটে দিনভর কোচবিহারই (Cooch Behar) ছিল সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত। দিনের মধ্যভাগেই শীতলকুচি কেন্দ্রের মাথাভাঙায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান ৪ জন। প্রত্যেকেই তৃণমূল কর্মী ছিলেন বলেই জানায় তাঁদের পরিবার। এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর হয়েছে বিস্তর। গোটা ঘটনায় কার্যত অস্বস্তিতে নির্বাচন কমিশনও। জেলা প্রশাসন এবং কমিশন নিযুক্ত পর্যবেক্ষকদের রিপোর্ট পেয়ে শনিবার নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়। জানানো হয়, জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় ৭২ ঘণ্টা কোচবিহারে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।
এদিকে গোটা ঘটনার প্রতিবাদে এদিন মাথাভাঙার স্থানীয় বাসিন্দারা কালো ব্যাজ পরে মিছিলে শামিল হচ্ছেন।