শুভঙ্কর বসু: এপ্রিলের মধ্যেই রাজ্যে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলতে চায় নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে এসে তেমনই ইঙ্গিত দিয়ে গিয়েছিল কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সেইমতোই যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার বুথের হালহকিকত খতিয়ে দেখতে জেলা শাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব।
সাম্প্রতিক সময়ে মহামারী পরিস্থিতির অভাবনীয় উন্নতি হলেও এখনও পর্যন্ত স্থির রয়েছে কোভিড বিধি মেনেই এবার রাজ্যে ভোট হবে। সেকারণে অন্তত ৩০ শতাংশ অর্থাৎ ২২ হাজার ৮৮৭টি বুথ বাড়তে চলেছে রাজ্যে। ফলে মোট বুথের সংখ্যা দাঁড়াবে ১ লক্ষ ১ হাজার ৭৯০টি। এছাড়াও বয়স্ক ও শারীরিকভাবে অক্ষম ভোটারদের কথা ভেবে এবার ২ হাজার ৯৫০টি চিহ্নিত বুথ উপরতলা থেকে নিচে নামিয়ে আনা হচ্ছে। রাজ্যের সমস্ত বুথ নিচ তলায় থাকবে। সূত্রের খবর, এই বুথ প্রস্তুতির কাজ কতদূর এগিয়েছে এদিন জেলাশাসকদের কাছ থেকে তার খতিয়ান নিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অতিরিক্ত বুথ প্রস্তুতি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য রিপোর্ট আকারে জেলা শাসকদের জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন : আগামী সপ্তাহেই খুলতে চলেছে রাজ্যের সমস্ত স্কুল! জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়]়
সাধারণত স্কুলগুলিকেই ভোটকেন্দ্র বা বুথ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। কমিশনের কাছে খবর ছিল, গত মে মাসের বিধ্বংসী ঝড়ে একাধিক স্কুলেরই বেহাল দশা। শিক্ষা সচিবকে অবিলম্বে সেগুলি সারাইয়ের কাজ সেরে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। জানা গিয়েছে, আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৯০ শতাংশ স্কুল সারাইয়ের কাজ শেষ। তাছাড়া এদিন শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা করেছেন আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যের স্কুলগুলি খোলার কথা চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য সরকার। কোভিড কালে যেহেতু একাধিক স্কুলকে ‘সেফ হোম’ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল তাই দীর্ঘদিন ধরে সেগুলি স্যানিটাইজেশনের কাজও করা হয়েছে। আপাতত সেগুলিকে বুথ হিসাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভোটারদের জন্য শৌচাগার, র্যাম্প-সহ যে ব্যবস্থাগুলি থাকার কথা সে বিষয়ে জেলা শাসকদের কাছ থেকে এদিন তথ্য সংগ্রহ করেছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। এছাড়াও এদিন জেলাগুলির সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি-সহ ভোট প্রস্তুতি সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর।