shono
Advertisement

মোদি সরকারের আমলে দারিদ্রমুক্তি ২৫ কোটির, নীতি আয়োগের দাবিতে সন্দেহ অর্থনীতিবিদদের

দাবি, সবচেয়ে বেশি দারিদ্রমুক্তি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে।
Posted: 04:24 PM Jan 16, 2024Updated: 06:39 PM Jan 16, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ৯ বছরে প্রায় ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্রের বৃত্তের বাইরে বেরিয়ে এসেছেন। এমনই দাবি নীতি আয়োগের (NITI Aayog)। ২০২২-২৩ সাল পর্যন্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে নয়া রিপোর্টে। কিন্তু সেই দাবি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

নয়া রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৩-১৪ সালে ভারতে দারিদ্রের পরিমাণ ছিল ২৯.১৭ শতাংশ। তা কমে এখন দাঁড়িয়েছে ১১.১৮ শতাংশে। এই কয়েক বছরে ২৪.৮২ কোটি মানুষ দারিদ্রের বৃত্তের বাইরে এসেছেন। এই তালিকার শীর্ষে উত্তরপ্রদেশ। সেখানে সংখ্যাটা ৫.৯৪ কোটি। তার পরেই বিহার ও মধ্যপ্রদেশ। ওই দুই রাজ্যে তা যথাক্রমে ৩.৭৭ কোটি ও ২.৩০ কোটি। এই রিপোর্টে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনই দাবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।

[আরও পড়ুন: রানওয়েতেই পাত পেড়ে খাচ্ছেন যাত্রীরা! মুম্বই বিমানবন্দর ও ইন্ডিগোকে নোটিস DGCA-র]

ঠিক কী নিয়ে সংশয় তাঁদের? বলা হচ্ছে, এই হিসেবের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সূচক এমপিআই (MPI)। মাল্টিডাইমেনশনার পভার্টি ইনডেক্স। কী এই সূচক? এই সূচক সেই শতাংশের হিসেবে উপরে নির্ভর করে, যা সরকারি সুযোগসুবিধা কত মানুষ পাচ্ছেন না। এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অবসরপ্রাপ্ত অর্থনীতি পরিষেবা আধিকারিক কে এল দত্ত সংবাদমাধ্যমকে বলছেন, ”এমপিআই কখনওই দারিদ্রের প্রতিনিধিত্ব করে না। সরকার এটাকে দারিদ্রের হিসেবের বিকল্প হিসেবে দেখাতে চাইছে। এটা ঠিক নয়।” অন্যদিকে অর্থনীতিবিদ ও সমাজকর্মী জঁ ড্রেজে জানাচ্ছেন, ”আমাদের এমপিআইয়ের তথ্যের সঙ্গে অন্যান্য সরকারি তথ্যও খুঁটিয়ে দেখতে হবে। কেননা এমপিআই তথ্য কখনওই দারিদ্র নির্ধারক হতে পারে না।”

[আরও পড়ুন: ‘মোদিকে হারাতে ইন্ডিয়া জোটে মমতাকে চাই’, দলে স্পষ্ট বার্তা খাড়গের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement