সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: প্রায় দেড় মাস আগে বিদেশ যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে বাধার মুখে পড়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) স্ত্রী রুজিরা ও তাঁর সন্তানদের। সেবার বিদেশ না গিয়ে ফিরতে হয়েছিল তাঁদের। ইডির (ED) আপত্তিতেই রুজিরার বিদেশযাত্রা হয়নি সেবার। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলায় দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন না, এমনই বলা হয়েছিল ইডির তরফে। যদিও রুজিরা আগেই ইডিকে বিদেশযাত্রার কথা জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন। সেই ঘটনার জন্য এবার ইডি ক্ষমা চাইল শীর্ষ আদালতে (Supreme Court)। সূত্রের খবর, ইডির অবগতিতেই সেবার সন্তানদের নিয়ে বিদেশ যাচ্ছিলেন রুজিরা। তাঁকে আটকানো ঠিক হয়নি। পাশাপাশি রুজিরার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিসও প্রত্যাহার করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দু’মাস পর ফের মামলার শুনানি।
পাশাপাশি এদিন ইডি সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশযাত্রায়ও কোনও বাধা নেই। ইডিকে এক সপ্তাহ আগে জানালেই হবে। এই মুহূর্তে অভিষেক চোখের চিকিৎসার জন্য আমেরিকা (USA)গিয়েছেন। এই বিদেশযাত্রা নিয়ে তিনি ইডি এবং আদালতকে আগে থেকে জানিয়েছিলেন। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার বড় স্বস্তি মিলল তাঁর।
[আরও পড়ুন: চোখের চিকিৎসায় অভিষেকের বিদেশযাত্রা নিয়ে ‘কুৎসা’ বিরোধীদের, কড়া জবাব দিল তৃণমূল]
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কউল ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে মামলাটি। অভিষেক-রুজিরার হয়ে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ইতিমধ্যে বিদেশ গিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী। তা জেনে ইডির কাছে বিচারপতিদের প্রশ্ন, অভিষেকের বিরুদ্ধে কি লুকআউট নোটিস আছে? তাতে ইডির জবাব, শিথিল হয়েছে শর্ত। বিচারপতি জানান, বিদেশ চলে গিয়েছেন অথচ লুক-আউট নোটিস, ব্যাপারটা পরস্পরবিরোধী। এরপরই বিচারপতিদের নির্দেশ, লুক-আউট নোটিস প্রত্যাহার করতে হবে।
[আরও পড়ুন: বামনগোলার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ, ক্লোজ করা হল আইসি-সহ ৪ পুলিশ কর্মীকে]
গত ৫ জুন, থাইল্যান্ড যাওয়ার পথে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দমদম বিমানবন্দরে আটকায় অভিবাসন দপ্তর। যুক্তি হিসেবে ইডির নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়। সন্তানদের নিয়ে বিমানবন্দর থেকে ফিরে আসেন রুজিরা। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে লুক-আউট নোটিসও (Look Out Notice) জারি করে ইডি। এর বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে রুজিরা ও অভিষেক মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় শুক্রবার কার্যত মুখ পুড়ল ইডির। আগে থেকে জানানো সত্ত্বেও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকানোর জন্য ক্ষমা চাইতে হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে।