নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমারকে গ্রেপ্তার করল ইডি (Enforcement Directorate)। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে তাঁকে প্রায় আট ঘণ্টা জেরা করেন তদন্তকারীরা। তারপরই সতীশ কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[আরও পড়ুন: দেশে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, দিল্লিতে স্কুল পড়ুয়াদের জন্য জারি নয়া গাইডলাইন]
ইডি সূত্রে খবর, গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত গরু পাচার নিয়ে সতীশ কুমারকে জেরা করেন ইডির আধিকারিকরা। অভিযোগ, পাচারকারীদের থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকা নেন ওই বিএসএফ আধিকারিক। সেই বিষয়েই প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। তদন্তকারীদের দাবি, সতীশ কুমারের বয়ানে প্রচুর অসঙ্গতি রয়েছে যা সন্দেহের উদ্রেক করে। তাই তদন্তের স্বার্থে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এদিন দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে তোলা হবে গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সতীশ কুমারকে। তাঁকে আরও জেরা করার জন্য হেফাজতে চাইবে ইডি বলে খবর।
এর আগে ২০২০ সালে সতীশ কুমারকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। অবশ্য শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়ে যান তিনি। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে (Bangladesh) গরু পাচারে জড়িত সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগসাজশ এবং বেআইনিভাবে অর্থ উপার্জনের অভিযোগ রয়েছে সতীশ কুমারের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ২০১৭ মার্চ পর্যন্ত মালদা এবং মুর্শিদাবাদে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৬টি ইউনিটের দায়িত্বে ছিলেন সতীশ কুমার। সেই সময় তিনি মালদার ৩৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডান্ট ছিলেন। তখন পাচারের সময় ২০ হাজার গরু সীমান্তরক্ষী বাহিনী ধরেছিল। পরে সেগুলি নিলাম করা হয়। এতে গরুপিছু ২ হাজার টাকা করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং কাস্টমস ৫০০ টাকা করে পেয়েছিল। পাচার চক্রের অন্যতম নায়ক মুর্শিদাবাদের এনামুল হকের (Enamul Haque) কোম্পানির সঙ্গে এদের যোগসাজশ আছে। ২০১৮ সালে বিএসএফের কমাডান্ট টমাস জিবু ম্যাথু কোচি থেকে ৪৯ লক্ষ টাকা-সহ ধরা পড়েন। এরপরেই এনামুলের গরু পাচার সিন্ডিকেটের তথ্য সিবিআইয়ের সামনে আসে। তারপর সিবিআই জানতে পারে এই চক্রে সতীশকুমার-সহ বেশ কয়েক জন অফিসার এবং প্রভাবশালীরা জড়িয়ে আছেন।