সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার বিদেশি অনুদান আইন ভাঙার অভিযোগ আম আদমি পার্টির (AAP) বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে ইডি (ED) জানিয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আইনকে ফাঁকি দিয়ে ৭ কোটি টাকার বেশি বিদেশি অনুদান নিয়েছে আপ। ইডির নতুন অভিযোগে অস্বস্তিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজিরওয়াল-সহ আপ নেতৃত্ব।
ইডির দাবি, ২০১৪-'২২-এর মধ্যে একাধিক দেশ থেকে মোটা অঙ্কের অনুদান ঢুকেছে আপের অ্যাকাউন্টে। এই দেশগুলির মধ্যে রয়েছে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, সৌদি আরব, আরব আমিরশাহী, কুয়েত এবং ওমান। অভিযোগ উঠেছে, বিদেশী দাতাদের পরিচয় গোপন করে, ভুল তথ্য দিয়ে ফান্ড বাড়িয়েছে আম আদমি পার্টি। ঘটনায় নাম উঠে এসেছে আপ বিধায়ক দুর্গেশ পাঠকের। ২০১৬ সালে একটি অনুদান গ্রহণ কর্মসূচি করা হয়েছিল কানাডায়। এই ঘটনায় ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধিও লঙ্ঘিত হয়েছে বলে দাবি ইডির।
[আরও পড়ুন: রাজস্থানে কিশোরীকে গণধর্ষণের পর ইটভাটার চুল্লিতে পুড়িয়ে হত্যা! মৃত্যুদণ্ড দুই সাজাপ্রাপ্তকে]
এমনিতেই কেজরির দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছে খলিস্তানপন্থী নিষিদ্ধ সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’-এর থেকে অর্থসাহায্য নেওয়ার অভিযোগ! যা নিয়ে এনআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা। সংগঠনের প্রধান গুরপতবন্ত সিংহ পান্নুন সম্প্রতি দাবি করেন, নব্বইয়ের দশকে ধৃত এক খলিস্তানি জঙ্গি নেতাকে দিল্লির জেল থেকে ছাড়ার শর্তে ২০১৪ থেকে ২০২২ পর্যন্ত প্রায় এক কোটি ৬০ লক্ষ ডলার (প্রায় ১৩৩ কোটি টাকা) অর্থ সাহায্য করা হয়েছে আপ নেতৃত্বকে। এই জেরেই তদন্তের দাবি করেছে বিজেপি। এর মধ্যেই আমেরিকা, কানাডা থেকে কোটি কোটি টাকা অনুদান তোলার অভিযোগ উঠল আপের বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, পিকআপ ভ্যান উলটে মৃত কমপক্ষে ১৮]
যদিও আপের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নয়া দাবি আসলে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এক বিবৃতিতে আপ জানিয়েছে, "আবগারি মামলা, স্বাতী মালিওয়ালের ঘটনায় ফাঁসাতে না পেরে এবার নতুন ষড়যন্ত্র সামনে এনেছে ইডি। যেহেতু আপের উপর রাগ বাড়ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। কারণ দিল্লি এবং পাঞ্জাবের ২০টি আসন হারাতে চলেছে বিজেপি।"