সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ED ডিরেক্টর সঞ্জয়কুমার মিশ্রর চাকরির মেয়াদ ফের বাড়ল। বৃহস্পতিবার আরও এক বছরের জন্য এই মেয়াদ বাড়ানো হল। এই নিয়ে পরপর তিন বছর মিশ্রর চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হল। ইডির অধীনে বহু বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে মামলা চলছে। প্রশ্ন উঠেছে, এই সব মামলার ধারাবাহিকতা রাখতেই কি বারবার মিশ্রর মেয়াদ বৃদ্ধি?
৬২ বছরের মিশ্র প্রথম কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অধিকর্তা হিসেবে নিযুক্ত হন ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর। সেই সময় তাঁকে ২ বছরের নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু পরে ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর তাঁর নিয়োগপত্রটি বদলে ২ বছরের জায়গায় তা ৩ বছর করা হয়। এবার সেই মেয়াদ আরও ১ বছর বাড়াল কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: জগদীপ ধনকড়ের পর বাংলার নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস]
মিশ্রর মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত। কয়েক মাস আগেই সুপ্রিম কোর্টকে সরকার জানিয়েছিল, মিশ্রর মেয়াদ বাড়ানোর পিছনে রয়েছে জনস্বার্থ। কেননা বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলা এমন পর্যায়ে রয়েছে, যে সেগুলির যথাযথ নিষ্পত্তি করতে গেলে এটা নিশ্চিত করা দরকার যেন একই আধিকারিকদের অধীনে সেগুলির তদন্ত হয়। সেই সঙ্গে অর্থমন্ত্রক শীর্ষ আদালতকে এও জানিয়েছিল যে কোনও নতুন কাউকে নিয়োগ করা হলে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তাঁর সময় লাগবে।
মিশ্রর মেয়াদ বাড়ানোর বিরোধিতা করে যে মামলা রুজু হয়েছিল তা গত ৮ সেপ্টেম্বর খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময়ই দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছিল, বর্তমান যে তদন্তগুলি চলছে তা শেষ করার সুবিধার্থে যুক্তিসঙ্গত ভাবে মেয়াদ বাড়ানো যেতেই পারে। তবে সেই সঙ্গে এও জানিয়ে দেওয়া হয়, যে সমস্ত অফিসারদের চাকরির মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে মেয়াদ বাড়ানো উচিত ‘বিরল এবং ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে’। ইডি ডিরেক্টর পদে আর মিশ্রর কোনও মেয়াদ বাড়ানো যাবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।