অর্ণব আইচ: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ১০ মিনিট সময় চেয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। আবার মানিক ভট্টাচার্যের সম্পর্কে আসা মেসেজ তাঁকেই ফরোয়ার্ড করেছিলেন পার্থ। চার্জশিটে মানিক-পার্থ কথোপকথন নিয়ে এমন অনেক তথ্য দিয়েছে ইডি।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে, এমন অভিযোগ উঠছিল বহুদিন ধরে। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। সেই মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির দায়িত্বে থাকা এসপি সিনহা ও অশোক সাহা। পরে গ্রেপ্তার করা হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে। দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের। তাঁকে তলবও করে তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় দ্বিগুণ রাজ্যের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, একদিনে সংক্রমিত ২৯৬]
এই পরিস্থিতিতে চার্জশিটে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্যের কথোপকথনের উল্লেখ করল ইডি। চার্জশিট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, টেট ও ইন্টারভিউ নিয়ে মানিক ভট্টাচার্য প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে দশ মিনিটের জন্য দেখা করবেন বলে জানান। ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর রাত ১২ টা বেজে ৫ মিনিটে ওই মেসেজের উত্তর দেন পার্থ। লেখেন, ‘ওকে’। গত বছর ১০ জানুয়ারি মানিক ভট্টাচার্য মেসেজ করে পার্থকে জানান, “ইন্টারভিউ ভালভাবেই শুরু হয়েছে।” উত্তরে পার্থ ধন্যবাদ জানান। মানিক যেমন তেমন ভাবে টাকা তোলেন, এমন অভিযোগ পার্থর কাছে করেছিলেন একজন। সেই মেসেজ মানিককেই ফরোয়ার্ড করেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। যদিও এর কারণ পার্থবাবু জানাতে চাননি বলে জানিয়েছে ইডি।
এদিকে দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে সামনাসামনি বসিয়ে জেরা করল সিবিআই। শোনা যাচ্ছে, তাঁদের দু’ জনের বক্তব্যে একাধিক অসংগতি রয়েছে।