সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হানা। এবার তাদের নজরে ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাটের ভিজিটরস বুক এবং সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ। অর্পিতার ফ্ল্যাটে কাদের-কাদের যাতায়াত ছিল, কবে কখন কে এসেছে, তা খতিয়ে দেখবেন ইডির আধিকারিকরা। সেখান থেকে তদন্তের নতুন কোনও দিক উঠে আসবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ইডি সূত্রে খবর, শনিবার বিকেলে ইডির আধিকারিকরা ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাটে হানা দেয়। এই ফ্ল্যাট থেকেই ২১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা-সহ প্রচুর বিদেশি মুদ্রা, গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছিল। এদিকে অর্পিতাকে লাগাতার জেরা করেও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও মিলেছে বলে খবর। এমন পরিস্থিতিতে ইডির নজরে অর্পিতার ফ্ল্যাটের ভিজিটার্স বুক এবং সিসিটিভি ফুটেজ। এগুলি খতিয়ে দেখে টাকার পাহাড়ের উৎসের সন্ধান মিলতে পারে বলে মনে করছে ইডি কর্তারা।
[আরও পড়ুন: ‘বেআইনিভাবে তৈরি হলে বাড়ি ভাঙা পড়বেই’, অর্পিতার ‘ইচ্ছে’ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ ফিরহাদের]
ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতাকে জেরা করে তাঁর নামে থাকা মোট ৬টি সংস্থার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। রিয়েল এস্টেটের পর টেক্সটাইল সংস্থারও হদিশ মিলেছে বলেই খবর। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ওই টেক্সটাইল সংস্থায় কাজে লাগানো হত বলেই মনে করা হচ্ছে। শনিবার সকাল পর্যন্ত ইডির ৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে ইডি। তদন্তকারীদের স্ক্যানারে মডেল-অভিনেত্রী অর্পিতার পরিবারের লোকজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরগরম গোটা রাজ্য রাজনীতি। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই ইডি হেফাজতে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তাঁর আবাসন থেকে সব মিলিয়ে মোট ৫০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। তিনটি নেল পার্লার এবং বাংলা, ওড়িয়া ছবিতে সহ অভিনেত্রী হিসাবে কাজ করা অর্পিতা ফ্ল্যাটে কীভাবে কোটি কোটি টাকা এল, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। যদিও ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতা জানিয়েছেন টাকার পাহাড়ের মালিক আদতে ইডি হেফাজতে থাকা প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই।