সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচার করার সাংবিধানিক অধিকারই নেই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal)। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিয়ে এই কথা জানাল ইডি। তদন্তকারী সংস্থার মতে, জেলে থাকা কোনও ব্যক্তি যদি নির্বাচনে প্রার্থী হন তাহলেও তাঁকে জামিন দেওয়া হয় না। তাহলে প্রচার করার যুক্তিতে কেন জামিন দেওয়া হবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে?
আবগারি দুর্নীতি মামলায় প্রায় দেড় মাস গারদের ওপারে রয়েছেন আপ সুপ্রিমো। ইডি হেফাজত থেকে তাঁকে পাঠানো হয়েছে তিহাড় জেলে। এহেন পরিস্থিতিতে বারবার অভিযোগ উঠেছে, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই কেজরির গ্রেপ্তারি আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি যেন আপের হয়ে প্রচার করতে না পারেন, তাঁকে আটকে রাখতেই এভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনজীবীদের এই সওয়ালের পরে সুপ্রিম কোর্টও (Supreme Court) জানিয়ে দেয়, নির্বাচনী প্রচারের বিষয়টি জড়িত রয়েছে বলেই কেজরিকে জামিন দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার কেজরির গ্রেপ্তারি মামলার রায় দেবে শীর্ষ আদালত।
[আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুর বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, পুড়ে মৃত ৫ মহিলা-সহ ৮ শ্রমিক]
রায়দানের ঠিক আগের দিন নতুন করে সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা পেশ করেছে ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মতে, "নির্বাচনী প্রচার করার মৌলিক বা সাংবিধানিক অধিকার নেই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। লোকসভা নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হননি। তাই কেবলমাত্র প্রচার করার জন্য তাঁকে জামিন দেওয়ার কোনও অর্থ হয় না।" ইতিহাস মনে করিয়ে দিয়ে ইডির দাবি, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া জেলবন্দিকেও কোনওদিন প্রচার করার জন্য জামিন দেওয়া হয়নি। কেজরির ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম ঘটানোর কোনও উপযুক্ত কারণও মেলেনি। ইডির দাবি, যদি প্রচার করার জন্য কেজরিকে জামিন দেওয়া হয় তাহলে অন্যান্যদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হবে।