বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: আম আদমি পার্টির পর সিপিএম। ব্যক্তির সঙ্গে পার্টিকেও তদন্তে জড়াতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কেরলের ত্রিশুর জেলার কারুভান্নুর সমবায় ব্যাঙ্কে ৩০০ কোটি টাকা তছরুপের ঘটনায় সিপিএমের নাম জড়ানোর প্রস্তুতি শুরু করল তদন্তকারী সংস্থা।
ঘটনার তদন্তে নেমে ছ’জন সিপিএম কর্মী সহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। ধৃত স্থানীয় সিপিএম কর্মীরা সকলেই সমবায়টির পরিচালন কমিটির সদস্য। গত মাসে দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় আপের (AAP) নাম জড়ায় ইডি। গত মাসে তদন্তকারী সংস্থা আম আদমি পার্টিকে দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে নথিভুক্ত করে। এই প্রথমবার একটি রাজনৈতিক দলকে মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করেছিল ইডি। এবার সিপিএমের ক্ষেত্রেও সেই পথে হাঁটাতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
[আরও পড়ুন: মানুষ পাঠানোর আগে চাঁদ থেকে আনা হবে পাথর, নয়া অভিযান ঘোষণা ইসরোর]
কারাভান্নুর সমবায় দুর্নীতিতে যেহেতু স্থানীয় সিপিএম কর্মীরা জড়িত তাই পার্টিকেও জড়াতে চাইছে ইডি। ২১ সালে ‘উৎসব অফার’ এ প্রায় ১২০০০ মানুষ ব্যাঙ্কটিতে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু তাঁদের সেই বিনিয়োগ ফেরাতে ব্যার্থ হয় ব্যাঙ্ক। ফলে বেশ কয়েকজন আমানতকারী আত্মহত্যা করে। তহবিল তছরুপের ঘটনার তদন্ত শুরু করে ইডি। দু’বছর বাদে অর্থাৎ গত বছর ইডি জানায়, সিপিআই বিধায়ক এবং প্রাক্তন মন্ত্রী এ সি মঈদিনের নির্দেশে সমবায় ব্যাঙ্কটি থেকে বেনামি ঋণ বিতরণ করা হয়। ২৩ সালের অগস্টে ইডি মঈদিনের ত্রিশুরের বাড়িতে অভিযানও চালায়।
[আরও পড়ুন: ভুয়ো ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়া! মুম্বই পুলিশের জালে চক্রের পাণ্ডা নৌসেনা কর্তা]
সিপিআইএম (CPIM) রাজ্য সম্পাদক এম ভি গোবিন্দন শনিবার জানান, পার্টি আইনি ও রাজনৈতিকভাবে মামলাটির মোকাবিলা করবে। কর্মীরা জড়িত থাকলেও পার্টি কোনওভাবেই জড়িত নয়। কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি নেতৃত্বের নির্দেশে ইডিও রাজনীতির খেলায় মেতেছে বলে অভিযোগ গোবিন্দনের।