অর্ণব আইচ: চালকলের খরচের হিসাবে স্বচ্ছতা ও সততা দেখালে বাকিবুর রহমানকে চেক সইয়ের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আদালতে সেরকমই ইঙ্গিত ইডির আইনজীবীর। রেশন বন্টন দুর্নীতিতে ইডির হাতে ধৃত মিল ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে সোমবার ব্যাঙ্কশালে ইডির বিশেষ আদালতে তোলা হলেও তাঁর জামিনের শুনানি হয়নি। ২৭ ফেব্রুয়ারি বাকিবুরের জামিনের শুনানি হবে।
এদিন বাকিবুরের আইনজীবী আদালতে জানান, বাকিবুরের চালকলে ১০৭৫ জন কর্মীর বেতনের জন্য এক কোটি টাকার প্রয়োজন। তার জন্য চেকে সই করতে হবে। ওই চালকল সংস্থায় বাকিবুরই সই করতে পারেন। বিচারক মন্তব্য করেন, এই চালকলের সম্পত্তি এখনও ইডির মামলায় সংযুক্ত নয় ও বাজেয়াপ্ত করা হয়নি। তাহলে এই জটিলতা হচ্ছে কেন?
[আরও পড়ুন: ম্যারাথন জেরা শেষে নিয়োগ দুর্নীতির ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়কে গ্রেপ্তার করল ইডি]
বাকিবুরের আইনজীবী জানান, যদি বিদ্যুতের বিল, বেতন, প্রভিডেন্ট ফান্ড না দেওয়া হয়, তবে এমনিতেই চালকল বন্ধ হয়ে যাবে। ৭৩ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার কারণে প্রত্যেক মাসে ৫০ লক্ষ টাকা করে ইএমআই মেটাতে হয়। এর বিরোধিতা কেন করা হচ্ছে, তা নিয়ে ইডিকে প্রশ্ন করেন বিচারক। ইডির আইনজীবী বলেন, এই সংস্থাটির স্বচ্ছতা ও সততা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। মিলের ব্যাপারে এখনও তদন্ত চলছে ইডির। এই সংস্থায় কত সংখ্যক কর্মী কাজ করেন, আদৌ হাজার কর্মচারী রয়েছেন কি না, তা নিয়ে ইডির সন্দেহ রয়েছে। তাই এই ব্যাপারে যথেষ্ট প্রমাণের প্রয়োজন।
বাকিবুরের আইনজীবী আদালতে জানান, এক হাজার কর্মচারী মানে এক হাজার পরিবার। যাঁদের বেতন দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের প্রমাণের খাতাও প্রয়োজনে পেশ করা হবে। ইডির শঙ্কা, কর্মীদের বেতনের নাম করে রেশন বন্টন দুর্নীতির টাকা সরিয়ে ফেলার চেষ্টা হতে পারে। তাই কর্মীদের ব্যাপারে আরও বিস্তারিত তথ্য চায় ইডি। বেতন দেওয়ার পর সেই খরচের হিসাবেও চাইছেন ইডির গোয়েন্দারা।
[আরও পড়ুন: সন্দেশখালির ‘রাখিবোন’দের আশ্রয় দেবেন রাজ্যপাল বোস, ‘নিষ্ক্রিয়’ পুলিশকে শপথ মনে করালেন রেখা]
এদিন বিচারক আদালতে জানান, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত না করলে চেক সই করার জন্য ইডির অনুমিত নিয়ে আপত্তি কোথায়? ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, বাকিবুরের চালকলের সব ব্যাঙ্কের অ্যাাকউন্ট ও সম্পত্তি সন্দেহের আওতায়। সেই দুর্নীতির টাকা সরানো হতে পারে বলে জানিয়েছে ইডি।