বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: দ্বিতীয় দিনেও মনজিৎ সিং গ্রেওয়াল ওরফে জিট্টাভাইকে টানা আটঘণ্টা জেরা করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, বুধবার সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলায় তদন্তকারীদর ভৎর্সনার মুখে পরতে হয় তাঁকে। ফলে এদিন সকালে ইডি দপ্তরে ঢোকা বা রাতে বেরনোর সময় মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন তিনি।
সম্প্রতি, বালিগঞ্জ থেকে কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। দিল্লিতে মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালকে তলব করে ইডি। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও দিল্লিতে ইডির দপ্তরে হাজিরা দেন মনজিৎ সিং গ্রেওয়াল ওরফে জিট্টাভাই। শেয়ার প্রতারণা থেকে শুরু করে আয়কর জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক অভিযোগ ওঠে দক্ষিণ কলকাতার ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। কয়লা পাচারের টাকাও এই কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ ইডির তদন্তকারী আধিকারিকদের।
[আরও পড়ুন: ইজরায়েল থেকে প্রভাবিত হচ্ছে ভারতের নির্বাচন! আন্তর্জাতিক রিপোর্ট হাতিয়ার করে তোপ কংগ্রেসের]
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ কয়েক পুরুষ ধরে কলকাতার বাসিন্দা গ্রেওয়াল পরিবার। কলকাতার শরৎ বোস রোডের ধারে তাঁদের একটি ধাবা রয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণ কলকাতা এলাকার সাম্প্রতিক একাধিক নির্মাণের সঙ্গে মনজিৎ সিং জিট্টার নাম জড়িয়ে রয়েছে। এছাড়া পানশালা, হোটেল ও রিসর্টের ব্যবসাও রয়েছে তাঁর। ২০১৬ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু সম্পত্তিও কিনেছেন তিনি। এদিকে বালিগঞ্জের টাকা উদ্ধারের ঘটনায় জিট্টাভাইয়ের নাম জড়াতেই তাঁর রাজনৈতিক আনুগত্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।