সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ফের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) মুখোমুখি কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। মঙ্গলবারই ৬ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছিল তাঁকে। এরপরই বুধবারও তাঁকে তলব করা হয়। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে এদিন বেলা এগারোটা নাগাদ ইডি দপ্তরে উপস্থিত হন সোনিয়া। এই নিয়ে এই মামলায় তৃতীয় বার কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রশ্নের মুখোমুখি তিনি। জানা গিয়েছে, এদিন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা দু’জনই গাড়িতে সোনিয়াকে ইডির দপ্তরে পৌঁছে দেন।
ইডির এক সূত্র সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছে, আজকেই সম্ভবত শেষবার এই মামলায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদ সোনিয়াকে। গত ২ দিনে ৬৫ থেকে ৭০টির মতো প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রীকে। ইডি সূত্রের দাবি, ৭৫ বছরের নেত্রীকে বেশ দ্রুতই জবাব দিতে দেখা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, বুধবারও মোটামুটি ৩৫-৪০টি প্রশ্ন বরাদ্দ রয়েছে সোনিয়ার জন্য।
[আরও পড়ুন: ইডি’র তলবে সাড়া, নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে মানিক ভট্টাচার্য]
জানা গিয়েছে, সোনিয়ার সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হলে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তাঁর দেওয়া উত্তরগুলি মিলিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিকে কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ প্রশ্ন তুলেছেন, কেন অসুস্থ সোনিয়া গান্ধীকে বারবার তলব করছে ইডি। তাঁর মতে, যেখানে রাহুলকে দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়ে গিয়েছে, এরপরও বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেত্রীকে এতবার ডাকার যুক্তি নেই। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট এই জিজ্ঞাসাবাদকে ইডির ‘তামাসা’ বলে কটাক্ষ করেছেন।
মঙ্গলবারের মতো বুধবারই বিক্ষোভ দেখাতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস কর্মীদের। এদিন দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দপ্তরে তাঁদের দেখা যায় একজোট হয়ে বিক্ষোভে শামিল হতে। উল্লেখ্য, বুধবার সাংসদদের নিয়ে সংসদ চত্বরে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। পরে মিছিল রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে এগোতে গেলেই বাধা দেয় পুলিশ। কংগ্রেস সাংসদদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় পুলিশের। রাহুল গান্ধীকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এমনকী মহিলা সাংসদদেরও রেয়াত করা হয়নি বলেই অভিযোগ। পুলিশ তাঁদের টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে।