অর্ণব আইচ: শিক্ষক নিয়োগ এবং রেশন দুর্নীতি - জোড়া মামলায় অভিযুক্তদের বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। শিক্ষা দুর্নীতিতে দুই অভিযুক্ত প্রসন্ন রায় ও শান্তিপ্রসাদ সিংহের ২৩০ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। একইসঙ্গে রেশন বন্টন দুর্নীতির মামলায় মোট ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। এই মামলায় জেলবন্দি তিনজন - জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বাকিবুর রহমান, শংকর আঢ্য ও অন্য অভিযুক্তদের সম্পত্তি ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানা গিয়েছে।
ইডি সূত্রে খবর, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teacher Recruitment Scam)মামলায় প্রসন্ন রায়ের পাথরঘাটায় ৯৬ কাঠা, সুলতানপুরে ১১৭ কাঠা, মহেশতলায় ২৮২ কাঠা, নিউ টাউনে ১৩৬ কাঠা জমি ও শান্তিপ্রসাদ সিংহের পূর্ব যাদবপুরের একটি বেনামী ফ্ল্যাট এবং কাপাসহাটিতে দু’টি জমি ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে। এই সব সম্পত্তি মিলিয়ে মোট পরিমাণ ২৩০ কোটির বেশি।
[আরও পড়ুন: ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ইজরায়েলে হামলা চালাতে পারে ইরান, ভারতীয়দের কী বার্তা বিদেশমন্ত্রকের?]
অন্যদিকে, রেশন বন্টন দুর্নীতির (Ration Scam) ক্ষেত্রে মোট ৪৮টি সম্পত্তি ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সল্টলেক ও বোলপুরে বাড়ি, গাড়ি, বেনামী সম্পত্তি। বাকিবুরের কলকাতা ও বেঙ্গালুরুরর দু’টি হোটেল, প্রচুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ফিক্সড ডিপোজিট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যে কোটি টাকার উপর সম্পত্তি পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছ থেকে ‘উপহার’ হিসাবে পেয়েছিলেন, সেগুলিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি।
[আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভর্তি তনুশ্রী শঙ্করের মেয়ে শ্রীনন্দা, কী হয়েছে অভিনেত্রীর?]
শুক্রবার রেশন দুর্নীতি মামলার তৃতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করে ইডি জানিয়েছিল, গত ২০১৪-১৫ সাল থেকে মোট ৩৫০ কোটি টাকা দুবাই পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ হয়ে হাওয়ালার মাধ্যমে বিপুল টাকা পাচার করা হয় বলেই অভিযোগ। ২০১৪-১৫ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত এই টাকা দুবাইতে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ হয়ে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচার করা হয়েছে বলেই দাবি। এবার অভিযুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।