নন্দন দত্ত, সিউড়ি: কয়লা ও গরু – জোড়া পাচার মামলায় এবার ইডির (ED) নজরে বীরভূমের এক পুলিশ অফিসার। অনুব্রত মণ্ডল, সায়গল হোসেনের সঙ্গে যোগসাজশ থাকার অভিযোগে এবার সিউড়ির আইসিকে (IC) ডেকে পাঠানো হল দিল্লির ইডি দপ্তরে। শনিবার ব্যাংক, আর্থিক লেনদেনের সমস্ত নথিপত্র-সহ তাঁকে তলব করা হয়েছে। ইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার জন্য তিনি ইতিমধ্যেই সিউড়ি (Suri) থেকে রওনা দিয়েছেন বলে খবর।
গরু পাচার মামলায় এই মুহূর্তে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal), তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এবং হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি রয়েছেন তিহার জেলে। ইডি তাঁদের নিজেদের হেফাজত থেকে ধাপে ধাপে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, সায়গল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় সিউড়ি থানার আইসি মহম্মদ আলির নাম উঠে আসে। সায়গলের দাবি, গরু পাচারের (Cattle Smuggling case) ঘটনায় আর্থিক লেনদেনে যুক্ত ছিলেন তিনি। এছাড়া ইডি সূত্রে খবর, এই কয়েকমাস ধরে অনুব্রত মণ্ডলের মামলা চালানোর খরচও জুগিয়েছিলেন আইসি মহম্মদ আলি। তা খতিয়ে দেখতে শনিবার বেলা ১১টায় মহম্মদ আলিকে দিল্লির ইডি দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: নেত্রীর বৈঠকের আগেই ধাক্কা বীরভূমের সংগঠনে, বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দলত্যাগ নলহাটির নেতার]
সপ্তাহখানেক আগে কয়লা পাচার কাণ্ডের আইসি মহম্মদ আলিকে ডেকে পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে নথি নিয়ে তলব করা হয়েছিল। তিনি হাজিরাও দিয়েছিলেন। আর এবার গরু পাচারের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দিল্লিতে তলব করা হল। পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার আসানসোলের (Asansol) জেল সুপার কৃপাময় নন্দীকে তলব করেছিল ইডি। তাঁকে ৫ এপ্রিল দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল যে সময় আসানসোল জেলে ছিলেন, সেই সময়ের কী কী ঘটেছিল, সেসব নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হতে পারে।