অভিরূপ দাস: ইডির (ED) দাবি রাজ্যের ৬০ টি পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি হয়েছে। গোটা বিষয়টির উপর নজর রেখে রাজ্যের পুর নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠালেন। বুধবার মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “আমি গোটা বিষয়টার উপর নজর রেখেছি। দফতরকে বলেছি ইডি যে পুরসভাগুলোর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে তাদের থেকে ফাইল আনাও। কি হয়েছে, না হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে।”
উল্লেখ্য নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) গ্রেফতার অয়ন শীলের অফিসে তল্লাশিতে ইডির হাতে এসেছে নথি। সেখানে পাওয়া গিয়েছে পুরসভায় নিয়োগে এজেন্সির তৈরি ওএমআর শিট। যদিও এই মুহূর্তে রাজ্যের কোনও পুরসভাতেই এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগ হয় না। ২০১৯ সাল থেকেই বদলে গিয়েছে আইন। তবে কি বেআইনি নিয়োগ হয়েছে বাম আমলে? মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের পর নিয়ম বদলে গিয়েছে। আগে এজেন্সির মাধ্যমে ওএমআর সিট তৈরি হতো। এখন মিউনিলিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে পুরসভায় নিয়োগ হয়।
[আরও পড়ুন: ১৪০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ, দেশের করোনা পরিসংখ্যানে ফের উদ্বেগ]
ইডি সূত্রে খবর, ম্যারাথন তল্লাশিতে অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিস থেকে পুরসভায় নিয়োগের যে নথি মিলেছে তার মধ্যে রয়েছে ২০০৬ এমনকি ২০০৮ সালের নথিও। উল্লেখ্য সে সময় পুরসভায় ক্ষমতায় ছিল বামেরা। তবে এখনই বামেদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে রাজি নন মেয়র। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, যখন আমি মেয়র ছিলাম না তখন কি হয়েছে বলতে পারবো না। যে সমস্ত পুরসভায় নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ করছে ইডি তার মধ্যে রয়েছে দমদম, দক্ষিণ দমদম, উত্তর দমদম, বরানগর পুরসভা।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, পুর নগরোন্নয়ন দফতরের মাধ্যমে প্রতিটি পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি আমরা খতিয়ে দেখবো। ২০১৯ সালের পর থেকে দুর্নীতি হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। মেয়রের বিশ্বাস, তদন্তে সত্যিটা বেরিয়ে আসবে। উল্লেখ্য পুরমন্ত্রীর নিজে যেখানে মেয়র সেই কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) নাম নেই এই তালিকায়। পুরমন্ত্রী হিসেবে অন্যান্য পুরসভার কোনও চেয়ারপার্সনকে দোষী সাব্যস্ত করতে রাজি নন তিনি। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কথায়, একশোজন অপরাধী বেরিয়ে যাক। কিন্তু দেখতে হবে একজনও নিরপরাধী মানুষও যেন শাস্তি না পায়। তদন্তের মূল কথা এটাই।