সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছিল আগেই। এবার ‘কালীঘাটের কাকু’র শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে হাসপাতালে খোদ দুই ইডি আধিকারিক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, কাউকে কিছু না জানিয়েই ওই ওয়ার্ডে ঢুকে পড়েন তাঁরা। আধিকারিকরা কথা বলেন ওই ওয়ার্ডের নার্স এবং দরজায় মোতায়েন জওয়ানদের সঙ্গে।
কার্ডিওলজি বিভাগের এক নম্বর কেবিনে ভর্তি রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra)। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, গত ৭ ডিসেম্বর রাতে আচমকাই তাঁর রক্তচাপ কমতে শুরু করে এবং নাড়ির গতি (পালস রেট) মারাত্মক বেড়ে যেতে থাকে। এর পরেই তড়িঘড়ি সুজয়কৃষ্ণকে কার্ডিওলজি বিভাগের ক্রিটিক্যাল কেয়ারে স্থানান্তরিত করা হয়। যার ফলে পরদিনই তাঁকে আর জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। আইসিইউ (ICU) অ্যাম্বুল্যান্স থাকা সত্ত্বেও কেন সুজয়কৃষ্ণকে নিয়ে যাওয়া যাবে না তা নিয়ে ইডির আধিকারিকরা প্রশ্ন তোলেন বলে সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’ অস্থায়ী, সংবিধান মেনেই ৩৭০ ধারা বিলোপ, রায় সুপ্রিম কোর্টের]
মেডিক্যাল বোর্ডের তরফে জানানো হয়, বাইপাসের পরে এমন অবস্থা হলে রোগীকে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করে তার পরে অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করার প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রেও তাই পরামর্শ দেওয়া হয়। এর পরে ওই চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে ইডির আধিকারিকরা চলে যান বলে খবর। সূত্রের খবর, পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা বোঝেন, মানসিক চাপ থেকেই এমনটা হচ্ছে সুজয়কৃষ্ণের। তখন থেকে মেডিক্যাল বোর্ডে দুই মানসিক রোগের চিকিৎসককে রাখা হয়।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে একটি অডিও রেকর্ডিং পায় ইডি। সেখানে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বর রয়েছে বলেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি। ওই গলার স্বরের নমুনা মিলিয়ে দেখতে চায় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, আদালতের নির্দেশের পরেও গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে মিলছে না সবুজ সংকেত।