অর্ণব আইচ: মানিক ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের জন্য ‘ড্রাফট চার্জ’ জমা দিতে এসে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মানিক ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়ে গিয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন তোলেন বিচারক। এরপরই ‘ইউ টার্ন’ নেয় ইডি। চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া থেকে ইডি পিছু হটে। ৬ অক্টোবরের মধ্যে ইডির কাছে ‘ক্লোজার রিপোর্ট’ চেয়েছে আদালত। ততদিন জেল হেফাজতে থাকতে হবে মানিক ভট্টাচার্যকে। তবে তার আগে রিপোর্ট জমা দিলে ওই তারিখ আদালত এগিয়ে আনতে পারে।
বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ব্যাঙ্কশালে ইডির বিশেষ আদালতে মানিক ভট্টাচার্যকে তোলা হয়। প্রথমেই ইডির আইনজীবী ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে জানান, তিনি মানিক ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে ‘ড্রাফট চার্জ’ জমা দিতে প্রস্তুত। মানিকের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত তার নথির আবেদন করেন। বিচারক ইডির আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করেন, ইডি ‘ক্লোজার রিপোর্ট’ জমা দিয়েছে কি না। ইডি’র আইনজীবী জানান, তাঁরা ড্রাফট চার্জ জমা দিচ্ছেন।
[আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে ‘গণপিটুনি’, পান করানো হয় প্রস্রাব! মাছ ব্যবসায়ীর মৃত্যুতে রায়গঞ্জে ধুন্ধুমার]
বিচারক জানান, তবে কি ধরে নিতে হবে তদন্ত শেষ হয়ে গিয়েছে। কারণ, ‘ক্লোজার রিপোর্ট’ জমা না দিলে তদন্ত শেষ হওয়ার জায়গায় যাওয়া যাবে না। তাঁদের সময় দিয়ে বিচারক উঠে যান। পরে বিচারকের ঘরে গিয়ে অভিযুক্তর আইনজীবীর সামনেই ইডির আইনজীবী জানান, তিনি তদন্তকারী আধিকারিককে জিজ্ঞাসা করছেন।
এরপরই ‘ইউ টার্ন’ নিয়ে ইডি আদালতকে জানায়, এখনই ‘ড্রাফট চার্জ’ দেওয়া হচ্ছে না। তবে ইডি ড্রাফট চার্জ দিতে প্রস্তুত। অবশ্য এখনই ‘ক্লোজার রিপোর্ট’ দেওয়া হচ্ছে না। বিচারক ৬ অক্টোবরের মধ্যে ইডিকে ওই রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দেন।