সন্দীপ চক্রবর্তী: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ থেকে স্কুলের সাদা-নীল পোশাক বিতর্ক নিয়ে বিধানসভায় বিবৃতি দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তাঁর কথায়, দ্রুতই শিক্ষক নিয়োগ হবে। আগামী দিনে আর কোনও শূন্যপদ থাকবে না। একইসঙ্গে ব্রাত্যর দাবি, স্কুলের সাদা-নীল পোশাকের সিদ্ধান্ত জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। এই সিদ্ধান্তে রাজ্যের বিভিন্ন ভাষাভাষীদের মধ্যে একীকরণ ঘটবে।
এদিন বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে জবাব দেন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানেই ব্রাত্য বসু বলেন, “আগামী দিনে রাজ্যে আর কোনও শূন্যপদ থাকবে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যাতে সব পদে নিয়োগ হয়। আমরাও সেই পথে এগোচ্ছি। দ্রুতই বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ শুরু হবে।” তবে কবে কীভাবে এই নিয়োগ হবে, সেই সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি তিনি। একইসঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকার যাতে নিজের জেলাতেই নিয়োগ পান সেই উদ্দেশে আরও একটি পোর্টাল তৈরি হচ্ছে বলে জানান ব্রাত্য।
[আরও পড়ুন: ‘আমরা মারিনি, মৌমাছির কামড়ে মারা গিয়েছে’, লকআপে বন্দিমৃত্যু নিয়ে আজব সাফাই বিহার পুলিশের]
এদিন বিধানসভা অধিবেশনের উল্লেখ পর্বে স্কুলের পোশাক বিতর্ক প্রসঙ্গ তোলেন বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার জোর করে স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য বিশ্ব বাংলার লোগোর সম্বলিত নীল-সাদা পোশাক চালু করতে চাইছে। এই অভিযোগ উড়িয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী জানান, “কোনও জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়। বিশ্ব বাংলা কোনও রাজনৈতিক দলের সম্পত্তি নয়। এটা বঙ্গবাসীর মধ্যে একীকরণ ঘটাবে।”
এ প্রসঙ্গ বলতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট এবং অসমের প্রসঙ্গও টেনে আনেন ব্রাত্য বসু। বলেন, “অসম, গুজরাট এমনকী উত্তরপ্রদেশেও স্কুলের পোশাক নির্দিষ্ট করা হয়েছে। পোশাক হিসেবে খাকি প্যান্ট আনা হয়েছে। যা আমাদের সংঘের পোশাকের কথা মনে করিয়ে দেয়। কিন্তু আমাদের এখানে বিষয়টা বঙ্গ-অস্মিতার। বাঙালি নয়, বঙ্গ-অস্মিতা হিসেবে বিষয়টিকে দেখুন। সংকীর্ণ রাজনৈতিক গণ্ডির মধ্যে দেখবেন না।”