সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হুগলির তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) বাড়ি থেকে ওএমআর শিট উদ্ধারে মুখ খুললেন ব্রাত্য বসু। কেউ দালালের ফাঁদে পা দিলে তার দায় পর্ষদের নয়, কড়া বার্তা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। দুর্নীতির দায় শিক্ষামন্ত্রী এড়াতে পারেন না বলেই পালটা দাবি বিরোধীদের।
প্রাথমিক টেটের ফলপ্রকাশের মাত্র কয়েকঘণ্টা পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তিনি বলেন, “এবারের টেটের ওএমআর শিট পর্ষদের পাশাপাশি পরীক্ষার্থীর কাছেও রয়েছে। ওই ওএমআর শিট কেউ যদি দালালকে দেয়, তার দায় পর্ষদের নয়। তেমন হলে দালাল যতটা দায়ী, প্রার্থীও ততটাই। কোনও চাকরিপ্রার্থী দালালের ফাঁদে পা দেবেন না। কেবলমাত্র মেধা, শ্রম, যোগ্যতা ও পর্ষদের স্বচ্ছতার উপর নির্ভর করুন। লখিন্দরের বাসর ঘরের মতো ব্যবস্থা করা হয়েছে। কালনাগিনী ঢোকার কোনও উপায় নেই। নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে সচেষ্ট রাজ্য সরকার।”
[আরও পড়ুন: কারও ২৫, কারও ৫০ হাজার! ‘ভূতুড়ে’ বিল না মেটানোয় অন্ধকারে গোটা গ্রাম, বিপাকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা]
উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। গ্রেপ্তারির আগে তাঁর চিনার পার্কের জোড়া ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় ইডি। একটি খাতা, ডায়েরি-সহ ডিসেম্বরের প্রাথমিক টেটের ১৮৯টি ওএমআর শিট উদ্ধার করা হয়। ওই ডায়েরিতে সাংকেতিক হরফে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লেখা রয়েছে বলেই ইডি সূত্রে খবর। তা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশও করেছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
কীভাবে কুন্তলের কাছে ওই নথি পৌঁছল, স্বাভাবিকভাবেই সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তবে কি ২০২২ সালে নিরাপত্তার চাদরে মোড়া টেটেও চাকরি বিক্রি হয়েছে? গত বছর যে সময় টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে সেই সময়ে নিয়োগ দুর্নীতির মূল চাঁইদের অনেকেই জেলবন্দি। তাহলে কে বা কাদের নির্দেশে দুর্নীতি করে কুন্তল, এমনই নানা প্রশ্নের খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।