দীপালি সেন: রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের সংঘাত অব্যাহত। ১২ জন রেজিস্ট্রারের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বৈঠকের পর ফাটল যে আরও চওড়া হল, তা বলাই যায়। শুক্রবার বৈঠকের পর সরকার মনোনীত উপাচার্যদের নিয়োগ না করা নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করলেন ব্রাত্য। রাজ্যপাল ‘পুতুল খেলা খেলছেন’ বলেই কটাক্ষ তাঁর।
শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যপালের ‘অতি সক্রিয়তা’র ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এই চাপানউতোরের মাঝে শুক্রবার মোট ৩১ জন রেজিস্ট্রারকে বৈঠকে ডেকেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তবে এদিন বৈঠকে যোগ দেন মাত্র ১২ জন রেজিস্ট্রার। সূত্রের খবর, যাঁরা বৈঠকে গরহাজির ছিলেন তাঁদের শোকজ করা হতে পারে। শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, রাজভবনের ‘হুমকি’র জেরে বৈঠকে যোগ দেননি অনেকেই। ব্রাত্যর কথায়, “শিক্ষাবিদদের মধ্যে হাড়হিম করা সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছেন কে? কে ভয় দেখাচ্ছে? রাজার বাড়ি না বিকাশ ভবন?”
[আরও পড়ুন: থানায় ইটবৃষ্টি-তৃণমূল কার্যালয়ে আগুন, অধীরের সভার পর রণক্ষেত্র রানিনগর]
বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল সরকার মনোনীত উপাচার্যদের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ করেন। ছাত্রীদের হেনস্তার অভিযোগও করেন। এই অভিযোগের পালটা জবাব দিয়ে ব্রাত্য বলেন, ‘‘রাজ্যপাল সংবিধান-বহির্ভূত বক্তৃতা দিয়েছেন। রাজ্যপাল কি আদৌ রাজ্যবাসীকে বার্তা দিতে পারেন? জঘন্য অভিযোগ করে উপাচার্যদের সম্মানহানি করা হচ্ছে। ডাহা মিথ্যা কথা বলছেন।’’ মত্ত হাতি, জেমস বন্ডের পর এদিন রাজ্যপালকে মহম্মদ বিন তুঘলক বলেও কটাক্ষ করেন ব্রাত্য।