সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আক্রান্তের দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার কথা নয়। বিধি অনুযায়ী দূর থেকে পরিজনদের দেখতে দেওয়া হয় দেহ। তারপর নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে হয় সৎকার। তবে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠল একেবারে অন্যরকম অভিযোগ। রোগীর পরিবারের দাবি, দেহ দাহ করার দায়িত্ব পরিজনদের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এগরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থানার ভাটদা গ্রামের বাসিন্দা অমিত জানা। যাদবপুরে একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করতেন। গত ৪ আগস্ট বিকেলে তিনি কলকাতা থেকে এগরা পৌঁছন। ৫ আগস্ট থেকে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সেদিন বাড়িতেই ছিলেন তিনি। ৬ আগস্ট তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। সকাল সকাল ভরতি করা হয় এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। তবে শেষরক্ষা হয়নি। বিকেল ৫টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন অমিতবাবু। ভাইরাসের দাপটেই তাঁর মৃত্যু।
[আরও পড়ুন: ফেসবুকে বিদেশি তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, কথার জালে ফেঁসে ৫৫ লক্ষ টাকা খোয়ালেন ব্যবসায়ী]
মৃত্যু সংবাদ শুনেই হাসপাতালে দৌঁড়ে যান রোগীর পরিজনেরা। তাঁদের অভিযোগ, রাতের দিকে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দিতে চায় এগরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনকী দেহ না নিলে ডেথ সার্টিফিকেটও দেওয়া হবে না বলেই জানিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে মৃতের পরিবারের তরফে হাসপাতালে জানানো হয়, সত্যিই অমিতবাবু করোনা আক্রান্ত হলে তাঁরা দেহ নেবেন না। তা নিয়ে হাসপাতালের সঙ্গে দ্বন্দ্বেও জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। পরে হাসপাতালের তরফে জানানো হয় দাহ তারাই করবে। তবে দাহ করার জন্য প্রয়োজনীয় কাঠের জোগান দিতে হবে রোগীর পরিজনদেরই। সেই মতো কাঠের জোগানও দেওয়া হয়। তবে মৃতের পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় করোনা আক্রান্তের দেহ এখনও সৎকার হয়নি। যদিও এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিংবা মহকুমা শাসক কারও তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
[আরও পড়ুন: লকডাউনের দিন রাস্তায় কেন? নিয়ম ভঙ্গকারীদের কান ধরে ওঠবোস করাল পুলিশ]
The post করোনা রোগীর দেহ নিতে চাপ পরিজনদের! কাঠগড়ায় রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল appeared first on Sangbad Pratidin.