সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শনিবার পালিত মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ইদ-উল-ফিতর। সর্বত্র আনন্দের পরিবেশ। ছোট-বড় সকলে মিলে ভালবাসা, প্রীতি-শুভেচ্ছা আদানপ্রদানে ব্যস্ত। সাধ ও সাধ্য অনুযায়ী ঘরে ঘরে রান্না হয় সুজি, শিমুই, পোলাও, কোরমা, পায়েস, পিঠাপুলি-সহ নানা ধরনের সুস্বাদু খাবার।
আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ শনিবার সকাল থেকে ইদগাহ, মসজিদ ও খোলা মাঠে নমাজ পাঠ করেছেন। অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ। মুসল্লিরা ইদের (Eid) নমাজ পাঠ করেছেন উৎসবমুখর পরিবেশে। নমাজ শেষে চলে শুভেচ্ছা বিনিময়। বাংলাদেশের দিনাজপুরের গোর এ শহিদ ও কিশোরগঞ্জ শোলাকিয়া ময়দানে ছিল লাখো মুসল্লির ভিড়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ছিল প্রতিটি ইদগাহ।
[আরও পড়ুন: ‘বাড়ির লোক পাগল প্রমাণের চেষ্টা করছে’, অশান্তির জন্য ‘পালিয়ে’ দিল্লিতে! নয়া দাবি মুকুলের]
সারা বাংলাদেশে ইদের জামাতে মোনাজাতে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনায় প্রার্থনা করা হয়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে রোদের উত্তাপ থেকে স্বস্তি পেতে ইদের জামাতে বিশেষ দোয়া করেছেন ধর্মাবলম্বীরা। এদিন সকাল ৭টায় বায়তুল মোকাররমে ইদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রিয়জনদের সঙ্গে ইদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ইতিমধ্যে ঢাকা ছেড়েছেন অর্ধকোটি মানুষ। আর বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনে যথাযথভাবে পবিত্র ইদ-উল-ফিতর উদযাপিত হয়েছে।
[আরও পড়ুন: তাপস সাহার নামে স্কুলড্রেস তৈরির বরাত! ‘বাবার মতো’, CBI তল্লাশির পর দাবি TMC নেত্রী ইতির]
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)আলাদা বিবৃতিতে দেশবাসীকে পবিত্র ইদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ইদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মী, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবী-সহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ইদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর সকাল ১১টা থেকে বিচারক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তিন বাহিনীর প্রধান, বিদেশি কূটনীতিক, সিনিয়র সচিব, সচিব এবং সচিবের সমতুল্য পদমর্যাদার বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।