সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষমতায় এসেই পেট্রলের দাম কমিয়ে দিল একনাথ শিণ্ডের সরকার। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র (Maharashtra) সরকার জানিয়েছে, পেট্রলের দাম পাঁচ টাকা এবং ডিজেলের দাম তিন টাকা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে বার্ষিক ছয় হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে সরকারকে। সার্বিকভাবে মূল্যবৃদ্ধির যন্ত্রণা থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দেওয়ার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশজুড়ে জ্বালানির ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির মধ্যেই সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির কারণেই জ্বালানির দাম (Petrol Price) কমানো হয়েছে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের।
জুন মাসের শেষেই নাটকীয়ভাবে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করেছিলেন একনাথ শিণ্ডে (Eknath Shinde)। নতুন ক্যাবিনেটের দ্বিতীয় বৈঠক ছিল বৃহস্পতিবার। সেখানেই পেট্রলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস (Devendra Fadnavis) জানিয়েছেন, “শিব সেনা ও বিজেপির সরকার সাধারণ মানুষের কল্যাণ করতে চায়। সেই কারণেই পেট্রল ও ডিজেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” নতুন নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার ফলে মহারাষ্ট্রে প্রতি লিটার পেট্রলের দাম হবে ১০৬ টাকা। তিন টাকা কমার ফলে ডিজেলের দাম লিটার পিছু ৯৪ টাকা।
[আরও পড়ুন: বেআইনি মাংসের কারবার! প্রাক্তন মন্ত্রীর ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল যোগীর পুলিশ]
দাম কমানোর কথা ঘোষণা করার পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন শিণ্ডে। পূর্বসূরিদের বিঁধে তিনি বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগেই জ্বালানির দাম কমিয়েছিলেন। রাজ্য সরকারকেও দাম কমাতে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই কথা কানে তোলেনি মহা বিকাশ আগাড়ি সরকার। কিন্তু আমরা পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছি। তারপরেই পেট্রোপণ্যের উপর ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পেট্রোপণ্যের দাম ঘোষণা করার ঘটনা আগেও দেখা গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও টানা প্রায় একশোদিন দাম বাড়েনি পেট্রোপণ্যের (Petrol Price Hike)। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে সাধারণ মানুষের মন জয় করতেই দাম কমাল শিণ্ডে সরকার, এমনটাই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।