সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বউবাজারের এক বাসিন্দার। মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হয় অশীতিপর এক বৃদ্ধার। নাম অঞ্জলি মল্লিক। হোটেলেই মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গিয়েছে, বউবাজারের স্যাকরা পাড়া এলাকায় তাঁর বাড়ি ছিল। বিপর্যয়ের পর তাঁকে হোটেলে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু পরিবেশের সঙ্গে তিনি মানাতে পারছিলেন না।
১ সেপ্টেম্বর থেকে আতঙ্কে দিন কাটছে বউবাজারের বাসিন্দাদের। একের পর এক ভেঙে পড়ছে বাড়ি। চোখের সামনে হুড়মুড়িয়ে বসতভিটে ভেঙে পড়া স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিতে পারেননি কেউই। প্রাণে বাঁচলেও সারা জীবন ধরে তিল তিল করে যে বাড়ি বানিয়েছিলেন, মুহূর্তে তা ধূলিস্যাৎ হয়ে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি কেউই। বছর ৮০-র বৃদ্ধাও ব্যতিক্রম ছিলেন না। স্যাঁকরা পাড়া এলাকায় থাকতেন তিনি। তাঁর বাড়িটি ছিল বেশ খোলামেলা। ওইরকম পরিবেশই পছন্দ করতেন বৃদ্ধা। কিন্তু বউবাজারে বাড়ি ভেঙে পড়ার পর অন্যদের মতো তাঁকেও স্থানান্তরিত করা হয় হোটেলে।
[ আরও পড়ুন: ‘বাংলায় এনআরসি হবেই’, কলকাতায় এসে জোর গলায় বলে গেলেন স্মৃতি ইরানি ]
কিন্তু হোটেলের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না তিনি। মঙ্গলবার রাতে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, হোটেলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
এক সপ্তাহ আগে, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গের জন্য টানেল বোরিং মেশিনের কাজ চলাকালীন বউবাজারে ভেঙে পড়ে বাড়ি। আতঙ্ক তৈরি হয় মানুষের মধ্যে। তদন্তে নেমে বোঝা যায়, সুড়ঙ্গে জল জমে মাটির আলগা হয়েই বাড়ি ভেঙে পড়েছে। বউবাজারের দুর্গা পিতুরী লেন, স্যাকরা পাড়া, গৌর দে লেন থেকে বাসিন্দাদের স্থানান্তরিত করা হয় হোটেলে। কিন্তু তাতেও স্বস্তি পাননি বাসিন্দারা। কারণ তাঁদের জিনিসপত্র সবই বউবাজারেই রয়ে গিয়েছে। যদিও কিছু জিনিস মেট্রোকর্মী ও পুলিশের তত্ত্বাবধানে বের করে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। তা সত্ত্বেও চিন্তা এতটুকু কমেনি। মনে করা হচ্ছে, সেই চিন্তাতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন ওই বৃদ্ধা।