অভিরূপ দাস: কোভিড (COVID) টেস্ট করাতে গিয়ে বেপাত্তা হয়ে গেলেন কলকাতার বৃদ্ধ। বাবাকে খুঁজে পেতে সোশ্যাল মিডিয়াকেই হাতিয়ার করেছেন মেয়ে স্বর্ণালী চক্রবর্তী। লিখেছেন, “কেউ যদি বাবাকে খুঁজে পান আমার নম্বরে ফোন করে জানাবেন।” কারণ, এই মুহূর্তে গুরগাঁও থেকে কলকাতায় আসা তাঁর পক্ষে কার্যত অসম্ভব। কিন্তু কী করে নিখোঁজ হলেন বৃদ্ধ?
জানা গিয়েছে, বছর পঁচাত্তরের স্নেহময় বন্দ্যোপাধ্যায় একাই থাকতেন কলকাতার (Kolkata) ভবানীপুরে। স্ত্রী মারা গিয়েছেন। মেয়ে স্বর্ণালী চক্রবর্তী সপরিবারে থাকেন গুরগাঁওতে। মেয়ের কথায়, “অনেকদিন ধরেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিল বাবা। ভবানীপুরে একাধিক বাড়িতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে৷ তাই নিয়ে শঙ্কিত ছিল। আমাকে জানিয়েও ছিল যে কোভিড টেস্ট করাবে। সেইমতো ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালে গিয়েছিল সোমবার। যাওয়ার আগে মোবাইলে আমার সঙ্গে শেষ কথা হয়।” ওই তরুণী জানান, এরপর আর বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি। যতবার ফোন করেছে বাবার মোবাইল সুইচড অফ। সোমবার সারা রাত ফোন করেও বাবাকে পাননি। এরপরই বাবার হদিশ পেতে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেন তিনি। তাঁর কথায়, বার্ধক্যজনিত কারণে বাবার অনেক কথাই মনে থাকে না। সবসময় সঠিক উত্তর দিতে পারেন না। আশঙ্কা রয়েছে, রাস্তা হারিয়ে ফেললে উনি সঠিক ঠিকানা বলতে পারবেন কি না।
[আরও পড়ুন: তীব্র বিস্ফোরণ, নিমেষে গোটা বাড়ি পরিণত হল ধ্বংসস্তূপে! আতঙ্কে কাঁটা গ্রামবাসীরা]
সোশ্যাল সাইটে স্বর্ণালীদেবীর পোস্ট দেখে নড়েচড়ে বসেছে ঢাকুরিয়ার আমরি কর্তৃপক্ষ। খবর দেওয়া হয় রবীন্দ্র সরোবর থানায়। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে দেখা গিয়েছে, বিকেল ৪টে নাগাদ এসেছিলেন ওই বৃদ্ধ। সাড়ে চারটে নাগাদ তিনি বেরিয়ে যান। তারপর তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মেয়ের কথায়, “১৬ তারিখের আগে কলকাতা ফেরার উপায় নেই। তার আগে কোনও বিমান নেই। এই মুহূর্তে ট্রেনও বন্ধ। কী করে বাবাকে খুঁজে পাবো বুঝতে পারছি না।” যদিও বৃদ্ধের হদিশ পাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে রবীন্দ্রসরোবর থানার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টির জের, মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে ২৩ হাজার কিউসেক জল ছাড়ল ডিভিসি]
The post কোভিড টেস্ট করাতে গিয়ে উধাও বৃদ্ধ, বাবাকে ফিরে পেতে সোশ্যাল মিডিয়াই হাতিয়ার মেয়ের appeared first on Sangbad Pratidin.