শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: মাটিয়া-মালদহে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে কিশোরীরা। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে মালদহের কালিয়াগঞ্জও। এবার চকোলেটের লোভ দেখিয়ে ন’বছরের নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামসেরগঞ্জে। কাঠগড়ায় ৫৮ বছরের এক প্রৌঢ়।
শনিবার দুপুরে সামসেরগঞ্জ থানার শেরপুর গ্রামে বাড়ির পাশে একটি আমবাগানে খেলছিল ওই কিশোরী। বেলা ১২টা নাগাদ ঔরঙ্গাবাদের অশোক দাস নামে ৫৮ বছরের প্রৌঢ় তাকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে যায়। ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ওই নাবালিকাকে যৌন হেনস্তার চেষ্টা করে। সেই সময় মেয়েটি চিৎকার করতে শুরু করলে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসে। ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্ত।
[আরও পড়ুন: ইমরানের সুপারিশে সায় রাষ্ট্রপতির, সংসদ ভেঙে দ্রুত নির্বাচনের পথে পাকিস্তান]
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত প্রৌঢ়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুরো বিষয়টির তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৪ মার্চ ১১ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বসিরহাটের (Basirhat) মাটিয়া এলাকায়। উপহারের লোভ দেখিয়ে নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে পাশবিক অত্যাচারের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা আপাতত আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ভরতি। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে তাঁর যৌনাঙ্গে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। নির্যাতিতা সংকটজনক অবস্থায় এইচডিইউতে (HDU) ভরতি। তার চিকিৎসার স্বার্থে গঠিত হয়েছে ৫ সদস্যের মেডিক্যাল টিম। ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্ত-সহ দু’ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এরপর ২৭ মার্চ দশম শ্রেণির ছাত্রীর মুখ-হাত বেঁধে, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। পরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করা হয়। আবার ১ এপ্রিল মালদহের (Maldah) হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের শালদহ এলাকায় গণধর্ষণের (Gangrape) শিকার হয় নাবালিকা।