শুভঙ্কর বসু: করোনা পরিস্থিতিতে পুরভোট নিয়ে চাপানউতোর এখনও অব্যহত। এই পরিস্থিতিতে আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার সর্বদল বৈঠক ডাকল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ২৭ ফেব্রুয়ারিই হবে বাকি ১০৮ পুরসভার ভোট।
দীর্ঘদিন ধরে পুরভোট নিয়ে জটিলতা চলছে। তার মাঝেই ডিসেম্বরে কলকাতা পুরসভার ভোট হয়েছে। পরবর্তীতে চারটি পুরনিগমের ভোট ঘোষণা করে কমিশন। করোনা পরিস্থিতিতে এই ভোট করানো আদৌ উচিত কি না, তা নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলে। পরবর্তীতে পিছোনো হয় ভোট। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি হবে ওই চার পুরনিগমের নির্বাচন। বাকি পুরভোট হওয়ার কথা ছিল ২৭ ফেব্রুয়ারি। তা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে সোমবার বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়ার নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল। রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির কারণেই চার সপ্তাহ ভোট পিছনোর দাবি জানায় তারা।
[আরও পড়ুন: ‘যা করেছি বেশ করেছি, কোনও অনুশোচনা নেই’, ফের বিস্ফোরক কবীর সুমন]
যদিও সূত্রের খবর, বঙ্গ বিজেপির এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ফলে ২৭ ফেব্রুয়ারিই বাকি পুরসভার নির্বাচন সংঘটিত হবে, এমনটা কার্যত স্পষ্টই ছিল। ভোটগণনা হওয়ার কথা ১ মার্চ। এই পরিস্থিতিতে বুধবার সর্বদল বৈঠকের ডাক দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ৩ ফেব্রুয়ারিই জারি হতে পারে নির্দেশিকা।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে ভোটের ক্ষেত্রে একাধিক দিক নজরে রেখেছে কমিশন। একাধিক ক্ষেত্রে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে আগেই। রাজনৈতিক দলগুলিকে ডিজিটাল প্রচারে জোর দিতে বলা হয়েছে। প্রত্যেক পুরনিগম এলাকায় নোডাল হেলথ অফিসার নিয়োগ করতে বলা হয়েছিল। করোনা টিকাকরণের ক্ষেত্রেও কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গণনার এজেন্ট, পোলিং অফিসার সকলেরই টিকার একটি ডোজ নেওয়া আবশ্যক।