সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট দেন না দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ। তাঁদের একটা বড় অংশই পরিযায়ী শ্রমিক। এই পরিস্থিতিতে এক নতুন ধরনের EVM যন্ত্র আনার কথা ভাবনাচিন্তা করছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এই নয়া যন্ত্রের সাহায্যে ভিন রাজ্যে থাকা শ্রমিকরা নিজেদের রাজ্যের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
জানা যাচ্ছে, প্রত্যেকবার নির্বাচনের সময় যাঁরা অন্য রাজ্যে থাকেন তাঁদের অর্থ ও সময় ব্যয় করে নিজেদের রাজ্যে এসে ভোট দিতে হয়। এই হয়রানি থেকে তাঁদের সুরাহা দিতেই এমন পরিকল্পনা কমিশনের। নতুন ধরনের ইভিএম যন্ত্রটি পরীক্ষামূলক ভাবে প্রদর্শন করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে আহ্বান জানানো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এই রিমোট ভোটিংয়ের আইডিয়াকে কার্যকর করতে গেলে প্রয়োজনীয় আইনি ও প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ করতে হবে তার তালিকাও প্রস্তুত করে ফেলেছে নির্বাচন কমিশন।
[আরও পড়ুন: ত্রিকোণ সম্পর্ক, বিমার টাকা, ঝাড়খণ্ডের অভিনেত্রী খুনে একাধিক ‘মোটিভ’! তদন্তে পুলিশ]
কী ভাবে কাজ করবে এই নয়া ইভিএম? নতুন যন্ত্রগুলিতে থাকবে রিমোট ইলেকট্রনিক ভোটিং (RVM) ব্যবস্থা। সর্বাধিক ৭২টি কেন্দ্রের প্রোগ্রামিং করা যাবে যন্ত্রটিতে। যে ভোটারের নাম যে কেন্দ্রে, তিনি বোতাম টিপলে সেই কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা ভেসে উঠবে তাঁর চোখের সামনে। তারপর তিনি যে প্রার্থীকে ভোট দিতে চান, তাঁকে ভোট দিতে পারবেন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানাচ্ছেন, তরুণ ও শহরের বাসিন্দাদের উদাসীনতার দিকে ফোকাস করার পরে এবার রিমোট ভোটিংয়ের মাধ্যমে দেশের নির্বাচনী গণতন্ত্রে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাকে আরও মজবুত করা যাবে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২০১৯ সালের নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন ৬৭.৪ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ৩০ কোটি মানুষ নির্বাচনে অংশ নেননি। এই তথ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন কমিশন। এই প্রসঙ্গে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে কমিশন জানিয়েছে, নতুন কোনও ঠিকানায় গেলে বেশির ভাগ ভোটারই পুরনো ঠিকানা বদল করতে চান না। তবে এক্ষেত্রে সবথেকে বড় কারণ যে ভিনরাজ্যের বাসিন্দা পরিযায়ী শ্রমিকরা তাও বলা হয়েছে। তবে সেই সংখ্যাটা কত তা জানা যায়নি। কেননা কেন্দ্রের কাছে পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা সংক্রান্ত কোনও তথ্য নেই।