সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মণিপুরে আসন্ন বিধানসভা (Manipur Election) ভোটের দিন পরিবর্তন করল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল ২৭ ফেব্রুয়ারি। পরিবর্তিত সূচিতে সেটি পরের দিন অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারি হবে। দ্বিতীয় তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল ৩ মার্চ। নতুন সূচিতে সেটি হবে ৫ মার্চ। তবে আগের মতোই ১০ মার্চ ফলঘোষণা করা হবে। কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে, বিভিন্ন তথ্য, উপস্থাপনা, অতীতের নজির, পরিকাঠামো, বাস্তব পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আসলে মঙ্গলবারই মণিপুর সফরে গিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র (Sushil Chandra)। সেখানে স্থানীয় আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। আসলে বিভিন্ন বিচ্ছন্নতাবাদী সংগঠনের উপস্থিতির জেরে মণিপুরের নির্বাচনে হিংসার সম্ভাবনা থেকেই যায়। সেটাই খতিয়ে দেখে এসেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
[আরও পড়ুন: ‘কংগ্রেস নয়, বিজেপির টার্গেট তৃণমূলই’, গোয়া থেকে খোঁচা অভিষেকের]
যদিও, ভোটের তারিখ বদলের পিছনে হিংসা নয়, অন্য কারণ আছে বলে জানা গিয়েছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি রবিবার হওয়ায় মণিপুরের খ্রিস্টানরা ওইদিন ভোটে আপত্তি জানিয়েছিলেন। আসলে রবিবার স্থানীয় চার্চগুলিতে বিশেষ প্রার্থনা হয়। সেই সঙ্গে বেশ কিছু সমাজসেবামূলক কাজও চলে। তাই চার্চগুলির অনুরোধ মেনে ভোট পিছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। প্রসঙ্গত, মণিপুরে ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। ভোটদাতা ২০,৫৬,৯০১ জন।
[আরও পড়ুন: চরকের নামে ডাক্তারি শপথ! স্বাস্থ্যশিক্ষায় গৈরিকীকরণ নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক]
উল্লেখ্য, সন্ত রবিদাসের জন্মতিথি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পাঞ্জাব সরকারের অনুরোধে সে রাজ্যেও ১৪ ফেব্রুয়ারির বদলে ২০ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ভোট ঘোষণার পর এভাবে দু’রাজ্যের নির্বাচনের দিনক্ষণ পরিবর্তন করাটা বিরল ঘটনা। নির্বাচন কমিশন সাধারণত পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি, নিরাপত্তা, বিভিন্ন উৎসবের দিন সবকিছু খতিয়ে দেখেই ভোটের দিন ঠিক করে। তারপরও কেন বারবার বদল করতে হচ্ছে ভোটের দিন? প্রশ্ন উঠছে।