স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যে পাঁচ কেন্দ্রের উপনির্বাচন (By-Elections) ও দুই কেন্দ্রের নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে। ইতিমধ্যেই নির্বাচনের দাবিতে চাপ বাড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। কমিশনের দপ্তরে তারা দু’বার দরবার করেছে। ঠিক কবে নির্বাচন হবে তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তর (CEO)। কিন্তু সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতিতে খানিকটা লাগাম পড়তেই নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কমিশন। পরিস্থিতি আয়ত্তে থাকবে এমন বার্তা মিললেই সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে নির্বাচন সেরে ফেলতে চাইছে কমিশন।
তেমনটা হলে আগস্টের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যাওয়ার কথা। সূত্রের খবর, রাজ্যের যে সব কেন্দ্রে (ভবানীপুর, খড়দহ, গোসাবা, শান্তিপুর, জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জ, দিনহাটা) নির্বাচন বাকি ইতিমধ্যেই সেসব জায়গার সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতি যাচাই করেছে কমিশন। নির্বাচন করানো নিয়ে এবার ন্যূনতম ঝুঁকি রাখতে নারাজ কমিশন কর্তারা। সে কারণেই কেন্দ্র ও রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন কমিশন (Election Commission) কর্তারা। আইসিএমআরের (ICMR) গাইডলাইনগুলিও নজরে রাখা হচ্ছে। এদিকে সাত কেন্দ্রের নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যেই ইভিএম–ভিভিপ্যাটের প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষাও শেষ হয়ে গিয়েছে। সাধারণত EVM-ভিভিপ্যাটের ‘ফার্স্ট লেভেল চেকিং’ থেকেই কোন জায়গার নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ে। ভোট প্রস্তুতির সর্বপ্রথম ধাপ এটি। কোভিড বিধি মেনে জেলা গুলিকে এই কাজ করতে বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: রোমে বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে আমন্ত্রিত Mamata Banerjee, একই মঞ্চে থাকবেন জার্মান চ্যান্সেলরও]
প্রসঙ্গত, জয়ী বিধায়কদের পদত্যাগ এবং মৃত্যুর কারণে রাজ্যের ৫টি কেন্দ্র এই মুহূর্তে বিধায়ক শূন্য। আর মুর্শিদাবাদের দুটি কেন্দ্রে ভোটের আগে প্রার্থীদের মৃত্যুর জন্য বিধানসভা ভোটেরই আয়োজন করা যায়নি। সব মিলিয়ে সাত কেন্দ্রে নির্বাচন হওয়ার কথা নভেম্বরের মধ্যে। কিন্তু, শাসকদল তৃণমূলের (TMC) আশঙ্কা ছিল রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট তৈরির লক্ষ্যে করোনার অজুহাতে নির্ধারিত সময়ে ভোট করাবে না কমিশন। আপাতত সে আশঙ্কা উড়িয়ে প্রস্তুতি শুরু হল উপনির্বাচনের। সব ঠিক থাকলে আগস্টের শেষেই রাজ্যের নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যেতে পারে বলে সূত্রের দাবি।