সুদীপ রায়চৌধুরী: লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়াটা সময়ের অপেক্ষা। তার আগে রাজ্যের প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে সংশ্লিষ্ট জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিনিয়ত নির্বাচন কমিশনকে অবহিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হল। সেই সঙ্গে রাজ্যের প্রতিটি লোকসভা (Lok Sabha) কেন্দ্র ধরে ধরে স্পর্শকাতর বুথ এবং স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করে দিল কমিশন। ওই স্পর্শকাতর এলাকার উপর নির্ভর করছে কোন এলাকায় কত বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
আগামী ৪ মার্চ ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এ রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) ফুলবেঞ্চ। তার আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি সব জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাব। এর আগে গত সপ্তাহেই জেলাশাসকদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করেছন আরিজ আফতাব। কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, জেলার আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে কমিশনের কাছে দৈনিক রিপোর্ট পাঠাতে হবে জেলা প্রশাসনকে। কোনও ঘটনায় আইন শৃঙ্খলার অবনতি হলে, সঙ্গে সঙ্গে তা কমিশনকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মা হতে চলেছেন দীপিকা পাড়ুকোন! কত মাসের অন্তঃসত্ত্বা রণবীর ঘরনি?]
জানা গিয়েছে, ৪ মার্চ কলকাতায় আসার পর ৫ মার্চ সর্বদলীয় বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ। সেদিনই বৈঠক হবে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে। ৬ তারিখ রাজ্যের মুখ্যসচিব, ও রাজ্য পুলিশের ডিজি’র সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করবে নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ। শোনা যাচ্ছে, মার্চ মাসের ৮-১৪ তারিখের মধ্যে লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে পারে।
[আরও পড়ুন: তিন সেনাকর্তাকে ফাঁসির সাজা মায়ানমারে! কেন এই পদক্ষেপ জুন্টার?]
উল্লেখ্য, এবার লোকসভা নির্বাচনে বাংলার উপর বিশেষ নজর দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে। এবার লোকসভা ভোটে বাংলায় দায়িত্বে থাকছেন বিশেষ নির্বাচনী আধিকারিক। এ রাজ্যের ভোট প্রক্রিয়া দেখার জন্য বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার নীতেশ কুমার ব্যাসকে (Nitesh Kumar Byas)। এদিকে লোকসভা ভোটের জন্য রাজ্যের নোডাল অফিসারের নাম চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। সচরাচর রাজ্যের ডিজিই নোডাল অফিসারের কাজ করেন। কিন্তু বাংলার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন সেই নোডাল অফিসারের নাম হিসাবে ডিজির নাম গ্রহণ করেনি। তার বদলে এডিজি বিচারবিভাগ আনন্দ কুমারকে বাছা হয়েছে নোডাল অফিসার হিসাবে।