সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন। আবার চব্বিশে লোকসভা ভোট। ঠিক তার আগেই মাস্টারস্ট্রোক জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। শচীন তেণ্ডুলকরকে ‘ন্যাশনাল আইকন’ বা জাতীয় আইকন হিসেবে বেছে নিয়েছে কমিশন। আর সেই দায়িত্ব পেতেই ভোটাধিকার নিয়ে সরব হলেন ক্রিকেট ঈশ্বর।
স্বপ্নের ভারত গড়তে প্রতিটা ভোটই গুরুত্বপূর্ণ। জাত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারলে, তবেই স্বপ্নের ভারত গড়ার সম্ভব হবে। বুধবার দিল্লির অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এমনটাই বললেন লিটল মাস্টার। দৃষ্টান্ত হিসেবে তিনি ভারতীয় ড্রেসিংরুমের ছবিটাও তুলে ধরেন। শচীনের কথায়, “দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমরা ড্রেসিংরুমে জড়ো হতাম। ভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, সংস্কৃতির ক্রিকেটার একত্রিত হতাম। সেটাই আমাদের শক্তি ছিল।” ঠিক তেমনই ভারতের শক্তি হল তার বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য। “গোটা বিশ্বে ভারত কনিষ্ঠতম। তবে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে এই দেশের মানুষ সবচেয়ে বড় ভূমিকা গ্রহণ করেন।” এভাবেই সাধারণ মানুষকে নির্বাচনের গুরুত্ব এবং ভোট দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা বোঝালেন শচীন (Sachin Tendulkar)।
[আরও পড়ুন: দিল্লি বিমানবন্দরের একই রানওয়েতে জোড়া বিমান! অল্পের জন্য বিপদ থেকে রক্ষা]
এদিন দিল্লি আকাশবাণীর এক অনুষ্ঠানে ভারতরত্ন ক্রিকেটারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘ন্যাশনাল আইকন’ করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। একটি মউ স্বাক্ষরিত হয়। ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার মনোজ কুমার সাহু শচীনের প্রশংসায় বলেন, “ক্রিকেটের প্রতি আপনার ভালবাসা আর আত্মত্যাগই আপনাকে আইকন বানিয়েছে। এবার আপনিই মানুষকে ভোটের প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাজকে ত্বরান্বিত করবেন।”
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের নভেম্বরে অবসর নেন শচীন। প্রায় এক দশক পেরিয়ে গেলেও এখনও এদেশে সমান জনপ্রিয় তিনি। কেবল ক্রিকেটার হিসেবেই নয়, মানুষ হিসেবেও শচীনের ভাবমূর্তি পরিচ্ছন্ন। সেই কারণেই তাঁকে ন্যাশনাল আইকন হিসেবে বেছে নিল কমিশন।