স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: তিনদিনে দ্বিতীয়বার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) বাসভবনে বৈঠক করলেন প্রশান্ত কিশোর। আগেরদিন বৈঠক চলেছিল তিনঘণ্টা, সোমবার চলল প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। তবে লাগাতার দু’টি ম্যারাথন বৈঠকেও স্পষ্ট হল না কংগ্রেসের সঙ্গে পিকের সম্পর্ক কী হতে চলেছে।
পেশাদার ভোটকুশলী হিসাবে গান্ধীদের পরামর্শদাতা হবেন, নাকি দলেই যোগ দেবেন সে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ধোঁয়াশাই রয়ে গেল। কংগ্রেস (Congress) সূত্রের খবর, দিনকয়েকের মধ্যে এই ধরনের আরও গোটা দুয়েক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তারপরই এই বিষয়ে পর্দা উঠবে। সোমবার ১০ জনপথে সোনিয়ার বাসভবনে রাহুল, প্রিয়াঙ্কা (Priyanka Gandhi), চিদাম্বরম, বেণুগোপাল, সুরজেওয়ালা, জয়রাম রমেশদের প্রায় চার ঘণ্টার এক প্রেজেন্টেশন দেন পিকে। যেখানে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যভিত্তিক কী কী সমীকরণ হওয়া উচিত, তা উপস্থাপন করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে থাকছেন না প্রধানমন্ত্রী! সূচনা অনুষ্ঠানে একসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল]
সূত্রের খবর, এদিন কংগ্রেস হাইকম্যান্ডকে যে যে প্রস্তাব দিয়েছেন প্রশান্ত (Prashant Kishor), তার মধ্যে অন্যতম হল, সাম্প্রতিক উদাহরণ মেনে বাংলায় বামেদের সঙ্গে নয়, বিজেপিকে হারাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই চলা উচিত কংগ্রেসের। দলের অভ্যন্তরের খবর অনুযায়ী, পিকের রাজ্যভিত্তিক এই সমীকরণে সহমত পোষণ করেছেন রাহুল গান্ধী। দু’টি বৈঠকের পর পরই পিকে ও কংগ্রেসের সম্পর্ক কী হতে চলেছে, সে প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি পিকে। সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে যেতে পিছন দিকের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘৪ সন্তানের জন্ম দিন, দু’জনকে তুলে দিন আরএসএসের হাতে’, হিন্দু দম্পতিদের আজব নিদান সাধ্বীর]
এও জানা গিয়েছে যে এদিন দলের সাংগঠনিক ক্ষেত্রে ব্যাপক রদবদলের কথা বলেছেন পিকে (PK)। যার মধ্যে অন্যতম হল, দ্রুত পূর্ণ সময়ের সভাপতি নিয়োগ করা। সেইসঙ্গে দলের যোগাযোগ বিভাগের খোলনলচে বদলের প্রস্তাব করেন তিনি। এর তেমনই আছে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজেদের বার্তা ও কর্মসূচির প্রচার এবং সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের কৌশলের বিষয়ও। যখন কংগ্রেস হাইকমান্ডের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করছেন পিকে, ঠিক তখনই সেখানে উপস্থিত হন প্রাক্তন জম্মু-কাশ্মীর মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। সূত্রের খবর, সেই সময় পিকের বৈঠক ছেড়ে অন্য ঘরে মুফতির সঙ্গে কথা বলেন সোনিয়া। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বিজেপি বিরোধীতায় ইউপিএ-তে (UPA) যোগদান সংক্রান্ত আলোচনা করতেই এদিন সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন মেহবুবা।