সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কারও বিদ্যুতের বিল আসত ৪০০, কারও বা ৬০০। লকডাউনে মোটের উপর একই পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যায় সত্ত্বেও কাকতালীয়ভায় বিল বেড়েছে কয়েকগুণ। কারও বিল এসেছে ৪০০০ কারও ১০ হাজার। এক পরিবারের বিল ১ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা! যা দেখে মাথায় হাত পরিবারের সদস্যদের। বিল হাতে পেয়েই CESC’র অফিসের সামনে বিক্ষোভে শামিল হন উপভোক্তারা।
তারাতলার CESC’র অফিসের সামনে বিক্ষোভরত উপভোক্তারা এদিন বলেন, লকডাউনে (lockdown) উপার্জন অধিকাংশেরই কমেছে। কারও আবার পুরোপুরি বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে অন্যায়ভাবে এত টাকা দাবি করলে কীভাবে আমরা সেটা দেব? পাশাপাশি তাঁদের প্রশ্ন, একই পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ করে কীভাবে এত বেশি বিল এল? তাঁদের কথায়, ‘বিলে জল’ মেশাচ্ছে CESC। যদিও সংস্থার সাউথ ওয়েস্ট রিজিয়নের ডিএমের কথায়, লকডাউনে প্রায় সকলেই ঘরে। তার উপর গরমকাল। ফলে বিদ্যুতের খরচ হয়েছে অনেকটাই বেশি। কিন্তু মে মাস পর্যপ্ত রিডিং নেওয়া হয়নি, পুরনো বিল অনুযায়ী অর্থ ধার্য করা হয়েছিল। জুন মাস থেকে মিটার রিডিং নেওয়া হচ্ছে। দেখা গিয়েছে, অ্যাভারেজ মিটারের থেকে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়েছে। সেটা বাড়তি ব্যবহৃত বিদ্যুৎ এই মাসে যুক্ত করা হয়েছে। সেই কারণেই বিল বেশি এসেছে।
[আরও পড়ুন: কাকভোরে উধাও রোগী, বেলায় নালা থেকে উদ্ধার দেহ, প্রশ্নের মুখে রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল]
কিন্তু এই পরিমাণ বিল কীভাবে দেবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই। কারণ, যার ইলেকট্রিক বিল বাবদ ধার্য ছিল ১০০০ টাকা। তাকেই দিতে হবে ৫০০০ হাজার টাকা। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে যা যথেষ্ট সমস্যার। যদিও এসমস্যা সমাধানের উপায় রয়েছে CESC’র কাছে, তারা জানিয়েছে প্রয়োজনে কেউ কিস্তিতেও বিল পরিশোধ করতে পারেন।
[আরও পড়ুন: ‘কতবার কথা বলব, আমরা কি রাজ্যপালের চাকর?’ ধনকড়ের লাগাতার অভিযোগে ক্ষুব্ধ মমতা]
The post বিদ্যুতের বিল ১ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা! CESC’র বিরুদ্ধে গরমিলের অভিযোগ উপভোক্তাদের appeared first on Sangbad Pratidin.