সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: উন্মত্ত হাতিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে অজ্ঞান করার পর মৃত্যু হল গজরাজের। ঝাড়গ্রামের (Jhargram) বিড়িহান্ডি বিটের কাজলার জঙ্গলের ঘটনা। ঠিক কী কারণে মৃত্যু হল হাতিটির, তা জানতে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে দেহ। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পর তাকে দাহ করা হবে বলে বনদপ্তর সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিনে ঝাড়গ্রামের কাজলার জঙ্গলের আশেপাশে এক হোম গার্ড-সহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে হাতির (Elephant) হানায়। বনদপ্তর উন্মত্ত ওই হাতিকে ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে অজ্ঞান করে নিয়ে আসার সময় মৃত্যু হয় দাঁতালটির। শনিবার সকাল থেকে ঝাড়গ্রাম বনদপ্তর পক্ষ থেকে ঝাড়গ্রামের বিড়িহান্ডি বিটের কাজলার জঙ্গলে উন্মত্য ওই হাতিটিকে ট্রাক করা হয়। বনদপ্তরের বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে দাঁতাল হাতিটিকে লক্ষ করে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোঁড়া হয়। হাতিটি ট্রাঙ্কুলাইজ তথা অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে চোখ বেঁধে গাড়িতে তোলা হয়। বনদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, হাতিটি জঙ্গলমহল (Junglemahal) জুলজিক্যাল পার্কে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসার সময় পথেই মারা যায়।
[আরও পড়ুন: ‘কোরান পোড়ানো বেআইনি নয়’, বিতর্কের আগুনে ঘৃতাহুতি ন্যাটো প্রধানের]
আরও জানা গিয়েছে, দাঁতালটি সম্প্রতি মানুষ দেখলেই তাড়া করছিল। আর তাড়া করে মেরে ফেলছিল মানুষকে। রীতিমতো এলাকায় ত্রাস তৈরি হয়েছিল এই হাতিটি ঘিরে। পরপর এই ঘটনাগুলির পর বনদপ্তর হাতিটিকে ধরে পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই অনুযায়ী এদিন সকাল থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় হাতিটিকে ধরার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এদিকে, হাতি ধরা দেখতে কাজলা জঙ্গল এলাকায় হাজারও মানুষ ভিড় করেছিল।
[আরও পড়ুন: ‘শুভ লাভ দেখলেই মনে পড়ে সেই কথা…’, ক্লাসরুমের গল্প শোনালেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়]
উল্লেখ্য, গত বছর এমনই একটি উন্মত্ত হাতিকে বনদপ্তর ধরে উত্তরবঙ্গে (North Bengal) পাঠিয়েছিল। এদিন হাতিটিকে ধরা গেলেও জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে পৌঁছনোর আগেই পথে মারা যায়। বনদপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “এই হাতিটি পরপর মানুষকে মারছিল। তাই এটিকে ক্যাপচার করে চিকিৎসার করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু হাতিটিকে ধরা গেলেও জুলজিক্যাল পার্কে আনার পথেই তার মৃত্যু হয়। কী কারণে মৃত্যু হল, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।”