চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: ভুল বোঝা হয়েছিল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুর ২ ব্লকের মালিহাটি কান্দ্রা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১ জন সদস্য। শনিবার তাঁরা ১৭ জন মিলে একসঙ্গে গণইস্তফা (Mass Resignation) দিয়েছিলেন। আর রবিবার তাঁদের ১১ জন জানালেন, ভুল বুঝে তাঁরা পদত্যাগ করছিলেন। কিন্তু পরে বুঝেছেন, তাই ইস্তফার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে চান। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে মঙ্গলবার। এই পরিস্থিতিতে তার আগে অবশ্য জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব সোমবার জরুরি বৈঠক ডেকেছে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকা থেকে বহু উপভোক্তা বাদ পড়া, বহু নাম নথিভুক্ত না হওয়ার জনরোষের ভয়ে শনিবার গণইস্তফা দিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুর ২ ব্লকের মালিহাটি কান্দ্রা গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayet) ১৭ সদস্য। বিডিওর কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছিলেন। সম্প্রতি কান্দি মহকুমার ভরতপুর-২ ব্লকের মালিহাটি কান্দ্রা পঞ্চায়েত এলাকায় তালিকায় ঠাঁই পায়নি বহু উপযুক্ত উপভোক্তা। দেদার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে জনরোষ বাড়ছে। পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান-সহ ১৭ সদস্য অভিযোগ তুলেছিলেন, চারপাশে যা হচ্ছে, তাতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা ও তাঁদের পরিবার। যে কোনওদিন জনরোষের শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা। সেই আশঙ্কায় এদিন কাঁদতে কাঁদতে এবার গণপদত্যাগ করেছিলেন মালিহাটি কান্দ্রা পঞ্চায়েতের ১৭ সদস্য।
[আরও পড়ুন: স্রেফ টি-শার্ট ভাঁজ করেই বিশ্বরেকর্ড! গিনেস বুকে নাম তুলে তাক লাগালেন এই যুবক]
কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ঘটনায় নয়া মোড়। পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান-সহ ৬ জন নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলেও ১১ জন সম্পূর্ণ উলটো পথে হাঁটলেন। তাঁরা জানিয়ে দিলেন, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল বলে তাঁরা ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু এখন বুঝতে পেরেছেন। তাই ইস্তফার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছেন। ভরতপুর ২ নং ব্লক তৃণমূল সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের বক্তব্য, ”তাঁরা হয়ত ভুল বুঝে ইস্তফা দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী এই সংক্রান্ত বিষয়ে যা নির্দেশ দিয়েছিলেন, তার ভুল ব্যাখ্যা হয়েছিল। তা বুঝতে পেরেই ১১ জন আজ জানিয়েছেন পদত্যাগ করবেন না।” যদিও পঞ্চায়েত প্রধান সৈয়দ নাসিরুদ্দিন-সহ ৬ জন নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়। ফলে পরিস্থিতি এই মুহূর্তে জটিল। মঙ্গলবারই স্পষ্ট হবে মালিহাটি কান্দ্রা গ্রাম পঞ্চায়েতের সমীকরণ কী দাঁড়ায়।