সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিড অতিমারীর সময়ে সরকারি নীতির বিরোধিতা করে প্রচুর টুইট করেছিলেন। তার জেরে টুইটারে ব্যাপক হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক। একাধিক মামলাও দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে। তবে এবার সেই সমস্ত খরচে ভার নিজের কাঁধে তুলে নিলেন এলন মাস্ক (Elon Musk)।
২০২০ সালে করোনা অতিমারীর (Covid) সময়ে গোটা বিশ্বের মতো কানাডাতেও (Canada) জারি হয় লকডাউন। সেই সময়ে লকডাউনের বিরোধিতা করে সরব হন ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিশু চিকিৎসক কুলবিন্দর কউর গিল। এমনকি ভ্যাকসিন না নেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি। তৎকালীন টুইটারে বারবার তোপ দাগেন সরকারি নীতিকে। তার ফলে গিলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বেশ কিছু চিকিৎসক সংগঠনগুলো। এমনকি গিলের টুইট করার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: ফের রাফায় ‘অগ্নিবর্ষণ’ ইজরায়েলি সেনার, মৃত অন্তত ১১]
প্রায় চার বছর ধরে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক। অন্তত ৩ লক্ষ কানাডিয়ান ডলার খরচ হয়েছে মামলা লড়তে গিয়ে। ভারতীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ২ কোটি টাকা। মামলার খরচ চালাতে গিয়ে প্রচুর ঋণও নিয়েছেন তিনি। এই খরচ মেটাতে দিনকয়েক আগে ক্রাউডফান্ডিংয়ের আয়োজন করেন গিল। সেই বিষয়টি মাস্কের নজরে পড়ে। তার পরেই এক্স কর্তা জানান, ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসককে সাহায্য করবেন তিনি।
গিলের সমর্থনে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে এক্স। সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি জানিয়েছে, “কানাডান আর ওন্টারিও সরকারের বিরোধিতা করে সরব হয়েছিলেন বলে তৎকালীন টুইটার কর্তাদের কোপে পড়েছিলেন চিকিৎসক। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়। সরকার তাঁর বাকস্বাধীনতায় কোপ বসিয়েছিল। কিন্তু সেই কুলবিন্দর কউর গিলের পাশে দাঁড়াবে এক্স। তাঁর আইনি লড়াইয়ের যাবতীয় খরচ মেটাবে সংস্থা।” নিজের সংস্থার এই বিবৃতি টুইট করেছেন মাস্ক নিজেও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, বাকস্বাধীনতার অধিকার বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত।