স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আরজি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠি দিলেন বিশিষ্টজনেরা। চিঠিতে বগটুই কাণ্ড থেকে শুরু করে আনিস খানের মৃত্যু, তুহিনা খাতুনের আত্মহত্যা, ঝালদা ও পানিহাটিতে কাউন্সিলর খুন ইত্যাদি ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। “রাজ্যের ভিতরে ভুল ত্রুটি গুলি শোধরানো প্রয়োজন, না হলে সাম্প্রদায়িক বিভেদকামী রাজনীতি আমাদের অভ্যন্তরীণ গাফিলতির সুবিধা নিতে চেষ্টা করবে “, লেখা হয়েছে চিঠিতে।
বগটুই প্রসঙ্গে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকার প্রশংসা করে চিঠিতে একথাও লেখা হয়েছে, ‘‘ঘটনা পরবর্তীতে আপনার তত্ত্বাবধানে প্রশাসন, অনুসন্ধান এবং ক্ষতিপূরণ দানে তৎপর হয়েছে এবং এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে স্বাগত।’’ চিঠিতে বিশিষ্টজনেরা আরও লিখেছেন, ‘‘এই চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের কোনও ক্ষুদ্র দলীয় বা রাজনৈতিক স্বার্থ নেই।ভারতের অধিকাংশ প্রান্তে এই মুহূর্তে গরিষ্ঠতাবাদী বিভাজন সৃষ্টিকারী রাজনীতির আস্ফালন। ২০২১-এর সেই রাজনীতি আমাদের বাংলাতে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়ে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছিল। দলমত নির্বিশেষে আমরা মনে করি আপনার জন্যই তা হতে পারেনি। আপনার এই সংগ্রামকে আমরা সম্মান করি এবং ভারতবর্ষে অতি-দক্ষিণপন্থী রাজনীতির অন্যতম প্রধান বিরোধী মুখ হয়ে ওঠার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।’’
[আরও পড়ুন: বেলাশেষে বেলাশুরু! বৃদ্ধাশ্রমে প্রেম, ৬৫ বছরের বৃদ্ধাকে বিয়ে করলেন সত্তরের বৃদ্ধ]
চিঠিতে মোট ২২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি স্বাক্ষর করেছেন। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়, অশোক মুখোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, রূপম ইসলাম, অনুপম রায়, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, ঋদ্ধি সেন, সোহিনী সরকার, সুজন নীল মুখোপাধ্যায়, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়, রেশমি সেন, দেবলীনা দত্ত, গৌরব চক্রবর্তীর মতো তারকা।
উল্লেখ্য, বগটুই কাণ্ডের তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। এর মধ্যেই আবার রামপুরহাটের নতুন আইসি (IC)হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দেবাশিস চক্রবর্তীকে। অন্যদিকে, মাত্র ২০ দিনেই পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের কিনারা করে ফেলেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। সুপারি দিয়ে ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করে তপন কান্দুর দাদা নরেন। পুলিশ সূত্রের খবর, এর জন্য মহম্মদ আসিক খান ৫ লক্ষ টাকা সুপারি দিয়েছিল সে। টাকা পেয়ে আসিক খান সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করেছিল। বাকি ঘটনাবলির তদন্তও চলছে।