সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছরের শুরুতেই সংগীত জগতে নক্ষত্রপতন। প্রয়াত সংগীতশিল্পী সুমিত্রা সেন (Sumitra Sen)। ব্রঙ্কোনিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালেও ভরতি করা হয়েছিল। সোমবারই ৮৯ বছরের শিল্পীকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মঙ্গলবার ভোরে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
রবিগানের অনুরাগী ছিলেন সুমিত্রা সেন। তার মাধ্যমেই শ্রোতাদের মন জয় করে নিয়েছেন বরাবর। সংগীত জগতেই খ্যাতি অর্জন করেন শিল্পীর দুই মেয়ে ইন্দ্রাণী সেন ও শ্রাবণী সেন। মায়ের মতোই রবীন্দ্রসংগীতের জগতে নিজস্বতা অর্জন করেছেন শ্রাবণী সেন। ইন্দ্রাণী সেন রবীন্দ্রসংগীতের পাশাপাশি আধুনিক গানেও শ্রোতাদের মন জয় করেছেন।
[আরও পড়ুন: তুনিশা কাণ্ডে ‘লাভ জেহাদ’ তত্ত্ব ওড়ালেন শিজানের পরিবার, কী বললেন অভিনেতার মা?]
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন বর্ষীয়ান শিল্পী। বার্ধক্যজনিত সমস্যা তো ছিলই পাশাপাশি ঠান্ডা লেগেছিল তাঁর। পরিস্থিতির অবনতি হলে গত ২১ ডিসেম্বর কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় সুমিত্রা সেনকে। সেখানেই শিল্পীর ব্রঙ্কোনিউমোনিয়া ধরা পড়ে। ফুসফুসে নিউমোনিয়ার প্যাচও ছিল বলে শোনা গিয়েছে। বর্ষীয়ান শিল্পীকে রাইলস টিউব দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছিল। শ্বাসকষ্টেরও সমস্যা ছিল বলে খবর।
নতুন বছরেও শিল্পীর শারীরিক অবস্থার বিশেষ উন্নতি হয়নি। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সোমবার সুমিত্রা সেনকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ শিল্পী নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আসন্ন মার্চেই শিল্পী নব্বই বছরে পা রাখতেন। কিন্তু তা আর হল না। শিল্পীর প্রয়াণে শোকাহত সংগীতজগৎ। তাঁর রবিগান আজও শ্রোতাদের কাছে সম্পদ। সেই সম্পদ আগামী প্রজন্মের জন্য রেখেই না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন সুমিত্রা সেন। ‘রেস্ট ইন মিউজিক’, শিল্পীর প্রয়াণে এমন কথাই লিখেছেন অনুরাগী। ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সুমিত্রা সেনকে ‘সংগীত মহাসম্মান’ প্রদান করে। র্ঘদিনের নিবিড় সম্পর্ক ছিল। তাঁর প্রয়াণে সংগীত জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল, শোক প্রকাশ করে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্পীর দুই কন্যা, অনুরাগীদের সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।