নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: পাঁচ রাজ্যে বড় জয় পেয়েছে বিজেপি (BJP)। তার পরই জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল বিরোধীরা। এমন আবহে ফের বড় কোপ পড়ল চাকুরিজীবীদের সঞ্চয়ে। একধাক্কায় এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে (EPFO) সুদের হার অনেকটা কমাল কেন্দ্র। এতদিন এই খাতে সুদ মিলত ৮.৫ শতাংশ হারে। ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষের জন্য এই সুদের হার কমিয়ে করা হল ৮.১ শতাংশ। যা ১৯৭৮ সালের পর সবচেয়ে কম।
সূত্রের খবর, শনিবার সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, করোনা কালে গত দু’বছর ইপিএফও-র সুদের হার ছিল ৮.৫০ শতাংশ। তবে এবারের সুদের হার নিসন্দেহে নজিরবিহীন হারে কমল।
[আরও পড়ুন: মধুচন্দ্রিমায় গিয়েই সব শেষ! হিমাচলে ‘খাদে পড়ে’ মৃত্যু বাংলার নববধূর]
পরিসংখ্যান বলছে, এর আগে ১৯৭৭-১৯৭৮ সালে সবচেয়ে কম ছিল ইপিএফও-র সুদের হার (Interest Rate)। সেই সময় সুদের হার দাঁড়িয়েছিল ৮ শতাংশ। তার পর থেকে কখনই এত কম হারে সুদ পাননি চাকুরিজীবীরা। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, ২০১৪ সালে কেন্দ্রে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নিম্নমুখী হয়েছে ইপিএফও-র সুদের হার। ২০১৩-২০১৪, ২০১৪-২০১৫ সালে ইপিএফওর সুদের হার ছিল ৮.৭৫ শতাংশ। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে এই হার বেড়ে দাঁড়ায় ৮.৮০ শতাংশ। সেটাই শেষবার। ২০১৭ এর পর থেকে ৮.৬৫ শতাংশের উপর ওঠেনি ইপিএপের সুদের হার। এবার তা আরও কমল। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “৪ রাজ্যে জেতার পর এটা মোদির উপহার। কেন্দ্রের অমানবিক, বিপজ্জনক সিদ্ধান্ত।”
উল্লেখ্য, এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে প্রায় ৬ কোটি চাকুরিজীবী অর্থ গচ্ছিত রাখেন। সুদের হার কমায় তাঁদের সঞ্চয়ের পরিমাণ অনেকটাই কমবে। এবছর সেন্ট্রাল বোর্ড অব ট্রাস্টির বৈঠকের আগেই ইঙ্গিত মিলেছিল সুদ কমিয়ে আগের হারে করা হতে পারে। আবার কেউ কেউ বলছিলেন, না এবছর সুদ অপরিবর্তিত রাখা হতে পারে। শেষপর্যন্ত, সুদ কমানোর সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিল ট্রাস্টি।