সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডুরান্ড ডার্বির (Durand Cup) পারদ চড়ছিল। টিকিটের প্রবল হাহাকার ছিল। সবাই ধরেই নিয়েছিল রবিবাসরীয় ডার্বিতে (Derby) সল্টলেক স্টেডিয়ামে কাণায় কাণায় পরিপূর্ণ হবে।
কিন্তু খেলা শুরুর পনেরো মিনিট পরেও দেখা গেল গ্যালারি পুরোদস্তুর ভর্তি হয়নি। গ্যালারির অনেক জায়গাই ফোকলা থেকে গিয়েছে।
দুই প্রধানের গ্যালারির এমন ফাঁকা জায়গা দেখার পরে ডুরান্ড কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন অনেকেই। কোথায় গেল এত টিকিট? কেন নিখাদ ফুটবলপ্রেমীদের হাতে পৌঁছল না খেলার টিকিট? এত টিকিট কীভাবে চলে গেল কালোবাজারির হাতে? এমন প্রশ্নও উঠছে। অথচ স্টেডিয়ামের বাইরে অসংখ্য মানুষের ভিড়়। সেই সব ফুটবলপ্রেমীদের কাছে ডুরান্ড ডার্বির টিকিট নেই। মাঠে ঢোকার প্রবেশাধিকার নেই। ডুরান্ড কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের অনুরোধ আরও সুন্দর করে এই ডার্বি আয়োজন করা যেত। আগামিদিনে যেন সেই দিকেই নজর দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: ক্যামেরাম্যানের উপরে ‘অগ্নিশর্মা’ রোহিত, ভারত-পাক ম্যাচের ভিডিও ভাইরাল]
মাঠে বল গড়ানোর আগে থেকেই বাঙালির চির আবেগের ম্যাচ ঘিরে দারুণ উত্তেজনা ছিল। টিকিট নিয়ে কালোবাজারি, টিকিটের জন্য মারামারি, উন্মাদনা দেখা গিয়েছে। ফিরে এসেছিল অতীতের ডার্বির দৃশ্য। দুই দলের সমর্থকরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে টিকিটের জন্য পাগলামিও শুরু করে দিয়েছিলেন।
শুক্র-রাতেই ডুরান্ড কমিটির পক্ষ থেকে সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে জানিয়ে হাউসফুল ঘোষণা করে দেওয়া হয়। শনিবার প্রায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ইডেন গার্ডেন্সের সামনের গোষ্ঠ পাল সরণি। শুক্রবার ভোররাত থেকেই দু’দলের সমর্থকরা ক্লাবের সামনে গিয়ে টিকিটের জন্য লাইন দিয়েছিলেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই লাইন বাড়তে বাড়তে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত পৌঁছে যায়। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই টিকিট পাননি বলে অভিযোগ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগানের বহু সমর্থক টিকিট না পাওয়ায় শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ। কমবেশি সবার মুখেই শোনা যায় এক কথা। যদি ক্লাব সমর্থকরা টিকিট না পেয়েই থাকেন, তাহলে এত টিকিট গেল কোথায়? রবিবারের যুবভারতীতেও সেই একই দৃশ্য। এত উন্মাদনা, এত উত্তেজনা ডার্বি ঘিরে অথচ মিনিট পনেরো পরেও গ্যালারির অনেক জায়গায়ই ফাঁকা থেকে গেল। যা ফুটবলপ্রেমীদের পীড়া দিচ্ছে।