সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের গুলির লড়াইয়ে কেঁপে উঠল জম্মু ও কাশ্মীর। আবারও রক্তাক্ত উপত্যকা। শুক্রবার কুলগাম জেলায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন তিন জওয়ান।
সেনা সূত্রে খবর, কুলগাম জেলার হালান জঙ্গলে জঙ্গিদের গোপন ঘাঁটির সন্ধান দেন গোয়েন্দারা। সেই খবরের ভিত্তিতে অভিযানে নামে সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একটি যৌথবাহিনী। রাতের অন্ধকারে ঘিরে ফেলা হয় সন্ত্রাসবাদীদের ডেরা। জওয়ানদের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে গুলি চালাতে শুরু করে জেহাদিরা। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা লড়াইয়ের পর গুলির আঘাতে গুরুতর আহত হন তিন জওয়ান। তাঁদের দ্রুত সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের চেষ্টা ব্যর্থ করে শহিদ হয়েছেন তাঁরা। এদিকে, এখনও জঙ্গিদের সন্ধানে অভিযান চলছে। ওই ঘাঁটিতে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসবাদী লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ২ আগস্ট থেকে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) কেন্দ্রের ৩৭০ ধারা (Article 370) বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি শুরু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। শুনানি চলছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (CJI DY Chandrachud) নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে। ৩৭০ ধারা বাতিলের সাংবিধানিক দিকই বিচার্য হবে শুনানিতে। এহেন পরিস্থিতিতে কাশ্মীরকে ফের উত্তপ্ত করে তুলতে চাইছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি।
[আরও পড়ুন: স্বস্তিতে জগদীশ টাইটলার, শিখ-বিরোধী দাঙ্গা মামলায় আগাম জামিন কংগ্রেস নেতার]
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে কাশ্মীরে পুঞ্চ এলাকায় খতম হয়েছে চার পাক সন্ত্রাসবাদী। সেনাবাহিনীর লাগাতার অভিযানে উপত্যকায় বিপাকে পড়েছে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি। লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো সংগঠনগুলি পালটা হামলা চালিয়ে এবার সদস্যদের মনোবল কিছুটা চাঙ্গা করে তুলতে চাইছে। সেনার উপর হামলা আসলে জেহাদিদের মরিয়াভাবকেই প্রকাশ করছে।